আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে দ. আফ্রিকার প্রথম জয়
বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। আর তাদের উড়িয়ে দিয়েই শেষ চারে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল দলটি। বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানকে মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৭ রান। সে লক্ষ্য ১১৬ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই পার করে প্রোটিয়ারা।
তবে এদিন ম্যাচের মাঝ পথে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। আফগানিস্তানের ইনিংসের মাঝ পথে বৃষ্টি নামায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। ২ ওভার কমিয়ে ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ৪৮ ওভারে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। উইন্ডিজের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছিল তাদের।
লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা গড়েন ১০৪ রানের দারুণ এক জুটি। ফলে আফগানদের দেওয়া সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। এরপর ডি কক আউট হলে আন্দিল ফেলুকাওয়োকে নিয়ে দলকে বিশ্বকাপের প্রথম জয় এনে দেন আমলা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ৭২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। আমলার ব্যাট থেকে আসে ৮৩ বলে ৪১ রান। এছাড়া ফেলুকাওয়ো করেন ১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র উইকেটটি নেন অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ব্যাট করছিলেন সাবলীল ভাবেই। ওপেনিং জুটিতে এলো ৩৯ রান। এ জুটি ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। ফেরান হজরতউল্লাহ জাজাইকে। তবে আরেক প্রান্তে বেশ রয়েসয়ে ব্যাট করছিলেন আরেক ওপেনার নূর আলি জাদরান। তবে ২০ ওভার শেষ হতে আসে বৃষ্টি।
সে বৃষ্টি যেন আশীর্বাদই হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। এ সময় ২ উইকেটে ৬৯ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু বৃষ্টির পরে স্কোর বোর্ডে আর ৮ রান যোগ করতে নেই ৫ উইকেট। ১ রানের ব্যবধানেই হারিয়েছিল ৪ উইকেট। আর তাতে বড় চাপে পরে যায় দলটি।
মূলত লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে পড়েই খেই হারিয়ে ফেলে আফগানরা। তবে শেষ দিকে দারুণ লড়াই করেছিলেন রশিদ খান। অষ্টম উইকেটে ইকরাম আলি খিলের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। নিজে খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। মাত্র ২৫ বলে ইনিংসে ৬টি চার মেরেছেন তিনি। এছাড়া নূর আলি ৩২ ও জাজাই ২২ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান ইমরান তাহির। এছাড়া ক্রিস মরিস ৩টি ও আন্দিল ফেলুকাওয়ো ২টি উইকেট নেন।
Comments