মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট: মাশরাফি
দেশের জার্সিতে পঞ্চাশতম ওয়ানডেটা রাঙালেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিং কোটা পূরণ না করলেও নিলেন ৩ উইকেট। করলেন জোড়া আঘাতও। একই ওভারে চার বলের মধ্যে ফেরালেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা শিমরন হেটমায়ার আর বিস্ফোরক আন্দ্রে রাসেলকে, যিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ফলে সংগ্রহটা বাংলাদেশে নাগালের বাইরে নেওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩২১ রানে আটকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তাই মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ওভারটি।
সোমবার (১৭ জুন) উইন্ডিজের ছুঁড়ে দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল মাশরাফি বাহিনী। তাতে টিকে থাকল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশাও।
ম্যাচ জয়ে সেরা অবদানটা সাকিব আল হাসানের। বল হাতে ২ উইকেট তুলে নেওয়ার পর বিশ্ব মঞ্চে ব্যাট হাতে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার। অপরাজিত থাকলেন ৯৯ বলে ১২৪ রানে। সবমিলিয়ে ৪ ইনিংসে ২টি করে সেঞ্চুরি আর হাফসেঞ্চুরিতে ৩৮৪ রান নিয়ে সাকিব উঠে গেলেন চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার চূড়ায়। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও তাই অবধারিতভাবে তার হাতেই উঠেল।
ধারাবাহিকতার প্রতিশব্দ হয়ে ওঠা সাকিবকে প্রশংসায় ভাসালেও মাশরাফির কাছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হলো মোস্তাফিজের বোলিং, ‘মোস্তাফিজ যে দুই উইকেট (উইন্ডিজের ইনিংসের ৪০তম ওভারে হেটমায়ার ও রাসেলের) পেল, টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেটা।’
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের দলনেতা মেতে উঠলেন সাকিব বন্দনায়ও, ‘সে দলের জন্য করে যাচ্ছে। প্রতি ম্যাচেই সে নামছে এবং বিশেষ কিছু করছে। আশা করছি, বাকিরাও তাকে সঙ্গ দেবে।’
Comments