লিটনের ব্যাটিং ছিল চোখ ধাঁধানো: সাকিব
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/2019-06-17t172547z_886601455_rc16cf5d2860_rtrmadp_3_cricket-worldcup-win-bgd.jpg?itok=EjfxrOxT×tamp=1560797641)
বড় রান তাড়ায় ওপেনাররা এনেছিলেন ভালো শুরু। ওয়ান-ডাউনে সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের জুটিও জমে গিয়েছিল। কিন্তু হুট করে পরপর তামিম আর মুশফিকুর রহীম ফেরাতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ থেকে দলকে টেনে তুলতে সাকিবের সঙ্গে দারুণ ব্যাট করে খেলা শেষ করে দেন লিটন দাস। ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নামা লিটনের জন্য প্রশংসা ঝরল নায়ক সাকিবের কণ্ঠে।
১৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আর কোন বিপর্যয় নয়। ৫১ বল আগেই ৩২২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সাকিব-লিটন মিলে ১৩৫ বলে করেন ১৮৯ রানের দারুণ জুটি।
জুটিতে দুজনেই ছিলেন সাবলীল, ব্যাট করেছেন দাপট নিয়ে। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও লিটন ক্রমেই মেলেন ডানা। ৬৯ বলে অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে। যাতে ৮ চারের সঙ্গে আছে ৪ ছক্কা। এর মধ্যে তিনটাই শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মারা টানা তিন বলে। এই সময়ে লিটনের নান্দনিক ব্যাটিং আর শটের পসরা নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখার কথা জানালেন সাকিব, ‘উইকেট খুব সহজ ছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, যদি উইকেটে থাকতে পারিস, তাহলে খেলাটা শেষ করা যাবে। প্রথম ১০, ১৫ বল পর যেভাবে সে ব্যাট করল তা ছিল চোখ ধাঁধানো। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে আমি তার ব্যাটিং উপভোগ করেছি।’
বড় রান তাড়ায় সব সময়ই রান রেট ঠিক রাখার চাপ ছিল। মারকুটে লিটনের অ্যাপ্রোচের কারণে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও সুবিধা পাওয়ার কথা জানান সাকিব, ‘এমন রান তাড়ায় সে কখনোই আমাকে চাপে পড়তে দেয়নি। এটাই তার ইনিংসের সেরা দিক বলব। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ, তিন-চার ম্যাচ দলের বাইরে বসে থাকার পর মাঠে নামা সহজ নয়। কিন্তু সে যেভাবে চাপ সামলেছে, তা ছিল দুর্দান্ত।’
Comments