ছক্কা বৃষ্টিতে ইংলিশদের রানের পাহাড়
চলতি আসরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল বৃষ্টি। তবে প্রকৃতির বৃষ্টি নয়, ওল্ড ট্রাফোর্ডে এদিন আলোচনা হয় ছক্কা বৃষ্টি নিয়ে। আফগানদের গলির বোলারের মতো পেটালেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। গড়লেন ওয়ানডে ক্রিকেটে ছক্কার নতুন রেকর্ড। সব মিলিয়ে এলো ২৫টি ছক্কা। আর তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহই করেছে ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান তুলেছে দলটি।
ইংল্যান্ডের ছোট মাঠে এবার আলোচনা ছিল এবারের আসরে চারশ রানের ইনিংস হবেই। এদিন অল্পের জন্য তা হয়নি। তবে নিজেকে মহাভাগ্যবান মানতেই পারেন রশিদ খান। বলের কোটা শেষ করতে পারেননি বলে। অন্যথায় খরুচে বোলার হিসেবে বিব্রতকর বিশ্ব রেকর্ডটি প্রায় করে ফেলেছিলেন। ৯ ওভারে রান খরচ করেছেন ১১০টি। তবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন এ লেগি। ১০ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটি অসি পেসার মিক লুইসের। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, কিছু আক্ষেপ হয়তো করছেন জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট। মরগান যেভাবে হেসেখেলে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন, সেখানে একটু ভুলে তারা আউট হয়েছে সেঞ্চুরির দ্বারে গিয়ে। এদিন টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। তবে শুরুটা সে অর্থে উড়ন্ত হয়নি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে জেমস ভিন্সের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৬ রান। এর পরেও আগ্রাসী খেলেছেন তাও নয়। ২৩ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১১৮/১। কিন্তু এরপরই আগ্রাসন শুরু করেন জনি বেয়ারস্টো। জো রুটের সঙ্গে গড়েন ১২০ রানের জুটি।
আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। এরপর মাঠে নামে মরগান। হাল ধরেন জো রুটের সঙ্গে। ১৯৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে বড় কথা এ জুটি গড়তে বল খেলেছেন মাত্র ১০১টি। আফগান বোলারদের উপর তোপটা দাগিয়েছেন মরগানই। মাত্র ৫৭ বলে স্পর্শ করেছেন সেঞ্চুরি। শেষপর্যন্ত ৭১ বলে খেলেছেন ১৪৮ রানের ক্যামিও। ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১৭টি ছক্কা। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। ভেঙেছেন ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের করা ১৬ ছক্কার রেকর্ড।
এদিন মোট ২৫টি ছক্কা মেরেছেন ইংলিশরা। যা এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড। চলতি বছরই উইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪টা ছক্কা মেরেছিলেন তারা। এছাড়া বিশ্বকাপে ৩৯৭ রান নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরও বটে। কদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান ছিল সর্বোচ্চ।
৯৯ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেছেন বেয়ারস্টো। জো রুট ৮২ বলে ৮৮ রান করেন। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন তিনি। অন্যথায় এবারের আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা প্রায় তুলে ফেলেছিলেন। শেষ দিকে মাত্র ৯ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৩১ রান করেন মইন আলি। আফগানিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন গুলবাদিন ও দৌলত জাদরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৯৭/৬ (ভিন্স ২৬, বেয়ারস্টো ৯০, রুট ৮৮, মরগান ১৪৮, বাটলার ২, স্টোকস ২, মইন ৩১*, ওকস ১*; মুজিব ০/৪৪, দৌলত ৩/৮৫, নবি ০/৭০, গুলবাদিন ৩/৬৮, রহমত ০/১৯, রশিদ ০/১১০)।
Comments