বাংলাদেশের ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার মানের কাছাকাছি: মাইকেল হাসি
বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে মাঠে নেমে তিনটিতেই তিনশোর্ধ্ব রান করেছে বাংলাদেশ। দলের ব্যাটিং সামর্থ্যের উন্নতির গ্রাফটা যে ক্রমেই উপরের দিকে উঠছে, তার প্রমাণ মেলে এই পরিসংখ্যানে। টাইগার ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে যারপরনাই মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান মাইকেল হাসি। তবে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে আরও অগ্রগতি দেখতে চান ‘মিস্টার ক্রিকেট’ খ্যাত তারকা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানে। ওয়ানডেতে এটাই দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটা টাইগাররা গড়েছিল এবারের আসরেই। বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তুলেছিল ৩৩০ রান। তাছাড়া অসিদের মুখোমুখি হওয়ার আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করেও জিতেছিল বাংলাদেশ।
আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ৫ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪২৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের যে কোনো সংস্করণের একক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে কমপক্ষে চারশো রান করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সাতে মুশফিকুর রহিম। ৫ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৪ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমন ধারাবাহিকভাবে রান পাওয়া এবং হার না মানা মানসিকতা নজর কেড়েছে হাসির। জনপ্রিয় ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন সাকিব-মুশফিকদের। এমনকি অসিদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপেরও তুলনা টানেন হাসি। তবে টাইগারদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে কাজ করার অনেক কিছুই আছে বলে মনে করেন তিনি। তার বিশ্বাস, ব্যাটিংয়ের মতো বোলিং বিভাগে উন্নতি করতে পারলে, শিগগিরই বড় দলের পর্যায়ে নাম লেখাতে পারবে বাংলাদেশ।
‘দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার খুশি থাকারই কথা। তবে তাদের পুরোটা সময় লড়াই করতে হয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এত বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটছিল, সেজন্য তাদের প্রতি আমার অভিবাদন রইল। এটা একটা বিশাল লক্ষ্য ছিল। তবে তারা নিজেদের অবস্থানটা বোঝাতে পেরেছে।’
‘তারা কখনওই হাল ছেড়ে দেয়নি। তারা কঠিন লড়াই করেছে। আর আমার কাছে নিশ্চিতভাবেই মনে হয়েছে, কিছু কিছু সময়ে অস্ট্রেলিয়ানরা চিন্তায়ও পড়ে গিয়েছিল।’
‘আপনি যদি দুটি দলকে পাশাপাশি রাখেন, তাহলে দেখবেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং এতটাই উন্নতি করেছে যে, সেটা প্রায় অস্ট্রেলিয়ার সমমানের হয়ে গেছে। তবে দুদলের মূল পার্থক্যের জায়গাটা হলো বোলিংয়ে।’
‘বাংলাদেশ যদি বোলিংয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারে, আগামী কয়েক বছরের এই জায়গাটায় আরও উন্নতি করতে পারে, কয়েকজন বিস্ময়কর স্পিনার ও গতিময় পেসার খুঁজে বের করতে পারে, আমি বিশ্বাস করি যে, তারা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সেরাদের কাতারে উঠতে পারবে।’
Comments