সমালোচকদের উপর বেজায় খেপেছেন রশিদ

স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কি বিভীষিকাই না নেমে এসেছিল রশিদ খানের জন্য। গলির বোলারদের মতো তাকে পিটিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ১১টি ছক্কা খেয়েছেন একাই। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। আর তাতে বেজায় খেপেছেন এ লেগস্পিনার। লোকজন তার ভালো দিনগুলোর চেয়ে একটা বাজে দিন নিয়ে পড়ে আছেন বলে জানান তিনি।
ছবি: রয়টার্স

স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কী বিভীষিকাই না নেমে এসেছিল রশিদ খানের জন্য। গলির বোলারদের মতো তাকে পিটিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ১১টি ছক্কা খেয়েছেন একাই। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। আর তাতে বেজায় খেপেছেন এ লেগস্পিনার। লোকজন তার ভালো দিনগুলোর চেয়ে একটা বাজে দিন নিয়ে পড়ে আছেন বলে জানান তিনি।

আগামীকাল ভারতের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ম্যাচের আগে ইংলিশদের বিপক্ষে সে বিভীষিকাময় দিনটি নিয়ে কি ভাবছেন রশিদ খান? এমন প্রশ্নে উল্টো তোপ দাগালেন তিনি, 'আমি সে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। লোকজন আগের ১০টি ভালো দিনের কথা ভুলে যায় এবং একটি বাজে দিনের কথা নিয়মিত মনে রাখে। তারা মনে রাখতে চায় না এর আগের ১০টি দিন রশিদ খান কি করেছে।'

ইংলিশদের বিপক্ষে কি করেছেন সেটা নিয়ে ভেবে সে ম্যাচে করা ভুলগুলোর দিকেই নজর দিতে চেন রশিদ, 'আমি এর চেয়ে ভালো আমার ভুলগুলো নিয়ে ভাবব যা ওই ম্যাচে করেছি। এসব সমালোচনা নিয়ে ভাবার কোন মানে হয় না। আমাকে সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে হবে।'

এছাড়াও গুঞ্জন উঠেছে অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভালো নয়। সেদিন নিজের শেষ ওভারটি করতে চাননি বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন রশিদ, 'আমার মনে হয় না গুলবাদিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কে কোন সমস্যা আছে। আমি তাকে সমর্থন দেই যেমনটা দিতাম আসগরকে, যখন সে অধিনায়ক ছিল। আসগরকে আমি যদি ৫০ শতাংশ সমর্থন করে থাকি, গুলবাদিনকে করি শতভাগ।'

অথচ বিশ্বকাপের আগে সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানকে যখন অধিনায়ক করা হয় তখন বেশ খেপেছিলেন রশিদ। সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়ে টুইটও করেছিলেন। সে কথা মনে করিয়ে দিতে আবারও ক্ষেপে যান রশিদ, 'তবে আমি গুলবাদিনের জন্য খেলি না, এমনকি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্যও না। আমি পতাকার জন্য খেলি, আফগানিস্তানের জন্য খেলি। আমি জানি আমার কি করতে হবে এবং সেটা আমি করে যাব।'

ইংলিশদের বিপক্ষে সে ম্যাচে মোট ১১০ রান খরচ করেছিলেন রশিদ। তাও বোলিংয়ের কোটা পূরণ করেননি। ৯ ওভার বল করেছেন। পুরোটা করলে হয়তো বিশ্বরেকর্ডই গড়া হয়ে যেত তার। ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়ে সবচেয়ে বেশি খরচ করার রেকর্ডটি মিক লুইসের। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ রান খরচ করেছিলেন এ অসি পেসার। তবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন রশিদ। বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলারের রেকর্ডটি এর আগে ছিল মার্টিন স্নেডেনের। ১৯৮৩ সালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৫ রান খরচ করেছিলেন এ কিউই পেসার। 

উল্লেখ্য, ওয়ানডে ক্রিকেট র‍্যাংকিংয়ে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন রশিদ। আর টি-টোয়েন্টিতে অনেক দিন থেকেই র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago