বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট মালিঙ্গার

lasith maliga
ছবি: রয়টার্স

গ্লেন ম্যাকগ্রা ও মুত্তিয়া মুরালিধরনকে টপকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন শ্রীলঙ্কার গতি তারকা লাসিথ মালিঙ্গা। সবমিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে উইকেটের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ম্যাকগ্রা ও মালিঙ্গার স্বদেশী মুরালিধরনের পাশাপাশি বিশ্বকাপে ৫০ বা তার বেশি উইকেট শিকারের নজির রয়েছে পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের।

২০০৭ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার স্বাদ নেওয়া মালিঙ্গা মাত্র ২৬ ম্যাচেই শিকার করেছেন ৫০ উইকেট। দ্রুততম ৫০ উইকেটের আগের রেকর্ডটা ছিল ম্যাকগ্রা ও মুরালিধরনের দখলে। তারা ৩০তম ম্যাচে পেয়েছিলেন উইকেটের হাফসেঞ্চুরির দেখা। এই কীর্তি গড়তে ওয়াসিমকে খেলতে হয়েছিল ৩৪ ম্যাচ।

শুক্রবার (২১ জুন) লিডসের হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে চমকে দিয়ে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত বোলিং করে স্মরণীয় জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ৩৫ বছর বয়সী মালিঙ্গা। ব্যাটসম্যানদের দেওয়া অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করে পান ম্যাচসেরার পুরস্কার। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ১টি মেডেনসহ ৪ উইকেট নেন মাত্র ৪৩ রানে। জো রুটকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকারের মাধ্যমে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি।

ইংল্যান্ডের ইনিংসে জোর ধাক্কাটা মালিঙ্গাই দেন। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফেরান বিপজ্জনক জনি বেয়ারস্টোকে। এক বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ওপেনার। আরেক ওপেনার জেমস ভিন্সও মালিঙ্গার শিকার হন। ফলে দলীয় ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা।

চতুর্থ উইকেটে ভালো জুটি গড়ে দলকে যখন জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জো রুট ও বেন স্টোকস, তখনি ফের লাইমলাইটে মালিঙ্গা। ৫৪ রানের জুটি ভেঙে দলকে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু। এরপর জস বাটলারের উইকেটটিও নিজের ঝুলিতে নেন তিনি। দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে পরে আর লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাওয়া হয়নি ইংল্যান্ডের।

সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের ২৬ ম্যাচে মালিঙ্গার দখল করা উইকেটসংখ্যা এখন ৫১টি। চলতি বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে মাঠে নেমে পেয়েছেন ৮ উইকেট। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে ১৮টি, ২০১১ বিশ্বকাপে ১৩টি ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ১২টি উইকেট শিকার করেছিলেন ভিন্নধর্মী অ্যাকশনের এই পেসার।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

1h ago