বাংলাদেশের সাকিবময় জয়

ছবি: রয়টার্স

আরও একটি জয়। আরও একটি সাকিবময় জয়। মন্থর উইকেটে দারুণ সংগ্রাম করে তুলেছেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর বল হাতে রীতিমতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। একাই নিলেন পাঁচটি উইকেট। তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। ৬২ রানের দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা, এ ম্যাচ জয়ে টিকে রইল সেমি-ফাইনাল খেলার আশা।

এ ম্যাচ জয়ে ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। উঠে এল পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নেওয়া আফগানিস্তানের এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি।

বিশ্বকাপে এদিন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। গড়েছেন ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রান ও ৩০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। এছাড়া বিশ্বকাপে একই ম্যাচে পঞ্চাশ রান ও পাঁচ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড় এই অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে ম্যাচটি ছিল সাকিবেরই। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (লিটন ১৬, তামিম ৩৬, সাকিব ৫১, মুশফিক ৮৩, সৌম্য ৩, মাহমুদউল্লাহ ২৭, মোসাদ্দেক ৩৫, সাইফউদ্দিন ২*; মুজিব ৩/৩৯, দৌলত ১/৬৪, নবি ১/৪৪, গুলবাদিন ২/৫৬, রশিদ ০/৫২, রহমত ০/৭)।

আফগানিস্তান: ৪৭ ওভারে ২০০ (গুলবাদিন ৪৭, রহমত ২৪, হাশমত ১১, আসগর ২০, নবি ০, শেনওয়ারি ৪৯*, ইকরাম ১১, নজিবুল্লাহ ২৩, রশিদ ২, দৌলত ০, মুজিব ০; মাশরাফি ০/৩৭, মোস্তাফিজ ২/৩২, সাইফউদ্দিন ১/৩৩, সাকিব ৫/২৯, মিরাজ ০/৩৭, মোসাদ্দেক ১/২৫)।

ফলাফল: বাংলাদেশ ৬২ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।

দৌলতকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় আঘাত

নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দৌলত জাদরানকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করেছেন তিনি। ৮ বল মোকাবেলা করে কোন রান করতে পারেননি দৌলত।

৪৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৯৫ রান। শেনওয়ারি ৪৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুজিব উর রহমান।  

রশিদ খানকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে উইকেট পাচ্ছিলেন না। রশিদ খানকে ফিরিয়ে সে খরা কাটিয়েছেন তিনি। তার স্লোয়ার বল বুঝতে না পেরে মিড উইকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি। ৩ বলে ২ রান করেছেন রশিদ।

৪৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৯১ রান। ৪০ রানে ব্যাট করছেন শেনওয়ারি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন দৌলত জাদরান।  

নজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব

উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে ব্যাট করছিলেন নজিবুল্লাহ। ইনিংস মেরামতের সঙ্গে রানের গতিও বাড়াচ্ছিলেন তিনি। তবে আরও বিপজ্জনক কিছু করার আগে তাকে ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেছেন তাকে। প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিলেন সাকিব। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে একই ফিফটি করার পাশাপাশি পাঁচটি উইকেট পেলেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটির পাশাপাশি পাঁচ উইকেট নিয়েছিল ভারতের যুবরাজ সিং।

২৩ বলে ২৩ রান করেছেন নজিবুল্লাহ। ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন তিনি। ৪৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। শেনওয়ারি ৩৯ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রশিদ খান।

শেওয়ারি-নজিবুল্লাহ জুটিতে পঞ্চাশ

দলীয় ১৩২ রানে আফগানদের ছয়টি উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। তবে সপ্তম উইকেটে নজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে দলের হাল ধরে ইনিংস মেরামত করে যাচ্ছেন এ ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। এর মধ্যেই গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। মাত্র ৩৯ বলে এ জুটি গড়েছেন তারা। তাতে শেনওয়ারির অবদান ২৭ রান। নজিবুল্লাহ করেছেন ২১ রান।

৪২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৪ রান। শেনওয়ারি ৩৬ ও নজিবুল্লাহ ২২ রানে ব্যাট করছেন।  

ইকরামকে রানআউট করে ফেরালেন লিটন

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদনই উঠেছিল সামিউল্লাহ শেনওয়ারির বিপক্ষে। প্যাডে লেগে বল শর্ট মিডে গেলে রান নিতে চেয়েছিলেন ইকরাম আলি খিল। ইচ্ছুক ছিলেন না শেনওয়ারি। দ্রুততার সঙ্গে না ফিরে কিছুটা দেরি করে ফেলেন তিনি। বল ধরেই সরাসরি উইকেট ভাঙেন লিটন। ১২ বলে ১টি চারের সাহায্যে ১১ রান করেছেন ইকরাম।

৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪১ রান। শেনওয়ারি ১৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন নজিবুল্লাহ জাদরান।  

আসগরকে ফিরিয়ে সাকিবের চতুর্থ আঘাত

দুই ওভার আগেই অনন্য মাইলফলকে পৌঁছেছেন সাকিব। হাজারী ক্লাব ও ৩০ উইকেটের অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা জোড়া উইকেট তুলে আগফানদের চেপে ধরেছিলেন তিনি। এবার আফগানিস্তানের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আসগর আফগানকে ফিরিয়েছেন তিনি। রানের গতিতে লাগাম পড়ায় তা বাড়াতে চেয়েছিলেন আসগর। কিন্তু ভুল বোলারকে বেছে নেন তিনি। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন দ্বাদশ খেলোয়াড় সাব্বির রহমান। ৩৮ বলে ২০ রান করেছেন আসগর।

৩৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৯ রান। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ৬ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইকরাম আলি খিল।

সাকিবের অনন্য মাইলফলক

ম্যাচে নামার আগেই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ৩৫ রান করলে হবে ১০০০ রান। এবং দুটি উইকেট পেলে পাবেন ৩০ উইকেট। তাতে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক হাজার রান ও ৩০ উইকেটের অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করবেন। আর এ ম্যাচে দুটোই করেছেন সাকিব।

নবিকে বোল্ড করে দিলেন সাকিব

দুই বল আগেই আফগান শিবিরে বড় ধাক্কাটা দিয়েছিলেন সাকিব। এবার দলের অন্যতম ভয়ঙ্কর মোহাম্মদ নবিকে ফিরিয়েছেন তিনি। তার বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন নবি। ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে ছিল ফাঁক ছিল অনেক। ফলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে আন এ আফগান অলরাউন্ডার। ২ বলে কোন রান করতে পারেননি তিনি।

৩০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান। ১৬ রানে ব্যাট করছেন আসগর। নতুন ব্যাটসম্যান শামিউল্লাহ শেনওয়ারি ব্যাট করছেন ৩ রানে। 

ভয়ঙ্কর গুলবাদিনকে ফেরালেন সাকিব

ওপেনিং জুটি ভেঙে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন সাকিব। সেই সাকিবই ফেরালেন আরেক ওপেনারকে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট মিডঅফে আউট হয়েছেন লিটন কুমার দাসের হাতে। অধিনায়ক হিসেবে মুনশিয়ানাও দেখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শর্ত এক্সট্রা কভার থেকে কিছুক্ষণ আগেই লিটনকে শর্ট মিডঅফে আনেন তিনি। ৭৫ বলে ৪৭ রান করেছেন গুলবাদিন। ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।  

আফগানদের দলীয় একশ

উড়ন্ত শুরু পেলেও মাঝে আফগানিস্তানের রানের গতিতে বেশ লাগাম দিতে পেরেছে টাইগাররা। তবে এর মধ্যেই দলীয় একশ পার করেছে দলটি। ২৫.২ ওভারে (১৫২ বলে) এসেছে আফগানদের শতরান। প্রথম পঞ্চাশ তারা তুলে নিয়েছিল ৬৯ বলে।

২৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০১ রান। গুলবাদিন ৪৫ ও আসগর ১২ রানে ব্যাট করছেন।  

হাশমতকে ফেরালেন মোসাদ্দেক

রহমতকে আউট করার পর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক গুলবাদিনের সঙ্গে বেশ দেখে শুনেই ব্যাট করছিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ১০ ওভার উইকেটে টিকে ছিলেন। যদিও রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। তবে ভয়ঙ্কর কিছু করার আগেই হাশমতকে ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেক। তাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেছেন এ অফস্পিনার। তাতে ভাঙে ৩০ রানের জুটি। ৩১ বলে ১১ রান করেছেন হাশমত।

২২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮১ রান। গুলবাদিন ৩৬ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। 

রানের গতিতে কিছুটা লাগাম দিতে পেরেছে টাইগাররা

প্রথম পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করেছে আফগানিস্তান। মন্থর উইকেটেও সাবলীল ব্যাট করে কোন উইকেট না হারিয়েই তোলে ৪৮ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বল হাতে এসে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন সাকিব। রহমত শাহকে আউট করার পর রানের গতিতে বেশ লাগামে দিতে পেরেছে টাইগাররা। পরের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তুলেছে দলটি।

২০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৭ রান। গুলবাদিন ৩৪ ও হাশমত ১০ রানে ব্যাট করছেন।  

রহমতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব

মন্থর উইকেটে খেলা। তারপরও পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছিলেন দুই ওপেনার। তবে বল হাতে নিয়েই এ জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। মিডঅনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে নিতে চেয়েছিলেন রহমত শাহ। কিন্তু ঠিকভাবে লাগাতে পারেননি। ধরা পড়েছেন তামিম ইকবালের হাতে। ৩৫ বলে ২৪ রান করেছেন এ ওপেনার।

১১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৯ রান। ১৬ রানে ব্যাট করছেন গুলবাদিন নাইব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।   

আফগানিস্তানের সাবধানী শুরু

মন্থর উইকেটের বিচারে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে ইনিংস শুরু করেছে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ বলের মান মেপে-বুঝে ব্যাটিং করছেন। তাদেরকে বেশ চাপেও রেখেছেন বাংলাদেশের দুই পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোস্তাফিজুর রহমান। খুব বেশি হাত খোলার সুযোগ দিচ্ছেন না তারা। 

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৬ ওভারে দলটির সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৭ রান। নাইব ৮ ও রহমত ১০ রানে ব্যাট করছেন।

চোটে পড়ে মাঠের বাইরে মাহমুদউল্লাহ

ব্যাট করতে এসেই পায়ের পেশিতে টান পেয়ে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন মাহমদউল্লাহ রিয়াদ। প্রতিটি রানেই খোঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এভাবেই ধুঁকে ধুঁকে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। পরে ৩৮ বলে ২৭ রান করে ফেরার পর আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি। টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে এই ম্যাচে আর তার ফিল্ডিং করার অবস্থা নেই।

আফগানিস্তানকে ২৬৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের দুটি ফিফটি ও শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করেছে টাইগাররা। জিততে হলে তাই ২৬৩ রান করতে হবে আফগানদের। উইকেট কিছুটা মন্থর হওয়ায় এ রান তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে চলতি বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।

দুরন্ত ফর্মে থাকা সাকিব ৬৯ বলে ৫১ ও মুশফিক ৮৭ বলে ৮৩ রান করেন। শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিং করে ২৪ বলে ৩৫ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ফলে শেষ ১০ ওভারে ৬৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (লিটন ১৬, তামিম ৩৬, সাকিব ৫১, মুশফিক ৮৩, সৌম্য ৩, মাহমুদউল্লাহ ২৭, মোসাদ্দেক ৩৫, সাইফউদ্দিন ২*; মুজিব ৩/৩৯, দৌলত ১/৬৪, নবি ১/৪৪, গুলবাদিন ২/৫৬, রশিদ ০/৫২, রহমত ০/৭)।

রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হলেন মুশফিক

প্রয়োজনীয় সময়ে দলের হাল ধরেছেন। টাইগারদের ইনিংস মেরামত করে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন। শেষ দিকে দ্রুত রান করতে গিয়ে আউট হলেন দৌলত জাদরানের বলে। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ঠিকভাবে না লাগায় লংঅফে ধরেছেন মোহাম্মদ নবির হাতে। ৮৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি।   

ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরুতে ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে খোলস ভেঙে হাত খুলে ব্যাট করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তবে গুলবাদিন নাইবের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। লংঅফে সহজ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ৩৮ বল ২টি চারের সাহায্যে ২৭ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৭ রান। মুশফিকুর রহিম ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।  

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে পঞ্চাশ

বাংলাদেশ দলের ইনিংস মেরামত করে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর মধ্যেই এসেছে এ জুটির পঞ্চাশ রান। ৫৮ বলে জুটির ফিফটি করেছেন তারা। তাতে মুশফিকের অবদান ২৬ ও মাহমুদউল্লাহর ২৪ রান।

বাংলাদেশের দলীয় দুইশ রান

মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই দলীয় দুইশত রানের কোটা পার করেছে দলটি। ৪০.৫ ওভারে (২৪৫ বলে) এসেছে দলীয় দ্বিশতক। প্রথম শত রান এসেছিল ১২৩ বলে।

মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি

দ্রুত সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের বিদায়ে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাট করে দলকে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। জুটি বেঁধেছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৫৬ বলে আসে তার ফিফটি। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। দৌলত জাদরানের বলে ছক্কা হাঁকিয়েই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭২ রান। মুশফিক ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে ব্যাট করছেন।

আলট্রা-এজ না দেখেই সৌম্যকে আউট দিলেন আম্পায়ার

মুজিব উর রহমানের বলে সৌম্যকে এলবিডাব্লিউর সিদ্ধান্ত দিলেন মাঠের আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি ব্যাটের খুব কাছেই গিয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল বল ব্যাটেই লেগেছে। কিন্তু আম্পায়ার আলট্রা এজ দেখলেন না। তা না দেখেই সৌম্যকে আউট দিয়ে দিলেন। তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হলো হলো আরও একবার আম্পারিং নিয়ে। এর আগে লিটন কুমার দাসের আউটটিও ছিল বিতর্কিত।

১০ বলে ৩ রান করেছেন সৌম্য। ৩২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫১ রান। মুশফিক ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি

মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা বেশ ভালোভাবেই করছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের প্রথম জুটি হিসেবে ওয়ানডেতে তিন হাজার রানের কীর্তিও গড়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে গেছেন তিনি। তাতে ভাঙে ৬১ রানের জুটি।

অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলটি রক্ষণাত্মকভাবেই খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু লাইন মিস করলে আঘাত হানে প্যাডে। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেছেন সাকিব।

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৩ রান। মুশফিক ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সৌম্য সরকার।

সাকিবের ফিফটি

দুর্দান্ত ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। যদিও নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করেছেন তিনি। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করে ৬৬ বলে করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এ রানের পথে মাত্র ১টি চার মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান।

২৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ৫০ ও মুশফিক ৩০ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ

দুই ওপেনারের বিদায়ে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এক হাজার রান করে এগিয়ে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতর দিকে। তবে এর মধ্যেই জুটিতে পার করেছে পঞ্চাশ রানের কোটা। ৪৮ বলে এসেছে এ জুটির ফিফটি। তাতে সাকিবের অবদান ২২ রান। মুশফিক করেছেন ২৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম জুটি হিসেবে ওয়ানডেতে তিন হাজার রানের কীর্তি গড়লেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

২৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ৪৯ ও মুশফিক ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রান সাকিবের

মাঠে নামার আগে মাইলফলক থেকে ৩৫ রান দূরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। এদিন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরে এ রান করে বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ মাইলফলকে পৌঁছালেন সাকিব। বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসে ১৯তম খেলোয়াড় সাকিব যিনি বিশ্বকাপে এক হাজার রান করলেন। দৌলত জাদরানের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে বিশ্বকাপে ১০০০ রান স্পর্শ করেন তিনি।

একই ওভারে দলীয় শতরানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩ রান। সাকিব ৩৫ ও মুশফিক ৯ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাকিব

রশিদ খানের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই সাকিব আল হাসানকে এলবিডাব্লিউর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন সাকিব। রিপ্লেতে দেখা যায় বল উপরে থাকায় মিস করছিল স্টাম্প। এ সময় ২৬ রানে ব্যাট করছিলেন সাকিব।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৭ রান। সাকিব ২৯ ও মুশফিক ২ রানে ব্যাট করছেন। 

তামিমের বিদায়ে ভাঙল জুটি

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দলের হাল বেশ ভালো ভাবেই ধরেছিলেন তামিম ইকবাল। মোহাম্মদ নবির আগের বলেই দারুণ একটি চার মেরেছিলেন। অফ স্টাম্পে রাখা পরের বলটি কাট করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে টাইগাররা। তাতে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ্র সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮২ রান। সাকিব ২৬ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।

সাকিব-তামিম জুটিতে পঞ্চাশ

লিটন কুমার দাসকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলের হাল সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ধরেছেন তামিম ইকবাল। এর মধ্যেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নিয়েছেন। দুইজনই কিছুটা ধীর গতিতেই ব্যাট করছেন। ৫৮ বলে এসেছে এ জুটির পঞ্চাশ রান। তাতে তামিমের অবদান ২৫ ও সাকিবের ২৩ রান।

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৪ রান। তামিম ৩০ ও সাকিব ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ

ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে তা কাএ লাগাতে পারেননি লিটন কুমার দাস। ফিরে গেছেন দলীয় ২৩ রানেই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে দলের সঙ্গে হাল ধরেছেন দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান। টাইগারদের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছেন অভিজ্ঞ এ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেছেন তারা। ১১.১ ওভারে (৬৭ বলে) এসেছে টাইগারদের দলীয় ফিফটি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৬ রান। সাকিব ১৮ ও তামিম ১৯ রানে ব্যাট করছেন।

বিতর্কিত আউট হয়ে ফিরে গেলেন লিটন

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বল হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে যাওয়ার আগে মাটিতে স্পর্শ করেছে। তৃতীয় আম্পায়ারও আলিম দারও শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু আফগানিস্তানের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়াররা। মূলত শতভাগ নিশ্চিত না থাকলে মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন তৃতীয় আম্পায়ার। আর তাতে শেষ হলো লিটন কুমার দাসের একটি সম্ভাবনয়াময় ইনিংস। উইকেটে নেমেই বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তিনি।

মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করেছেন লিটন। ১৭ বলে ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের আগের ছয়টি ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করেছিলেন সৌম্য সরকার। এদিন বাঁহাতি-ডান হাতি কম্বিনেশন গড়তে নেমে শুরুটা ভালো হলো না টাইগারদের।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪ রান। তামিম ১২ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।

আফগানিস্তানের একাদশেও দুটি পরিবর্তন

ভারতের বিপক্ষে ফিরেছিলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এক ম্যাচ পড়েই বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া পেসার আফতাব আলমের জায়গায় ফিরিয়েছেন দৌলত জাদরানকে।

আফগানিস্তান: গুলবাদিন নাইব, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, নজিবুল্লাহ জাদরান, ইকরাম আলী খিল, রশিদ খান, দৌলত জাদরান ও মুজিব উর রহমান।

ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক

বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন এসেছে দুটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়েছিলেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন এ দুই তারকা। তাই জায়গা হারিয়েছেন রুবেল হোসেন ও সাব্বির রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে না চাইলে শেষ তিনটি ম্যাচই জিততে হবে বাংলাদেশকে। টাইগারদের জন্য এখন তাই প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল। এমন ম্যাচের শুরুটা হয়নিভাল হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়িব। বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। মানে ব্যাটিং করতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে।

বৃষ্টির কারণে ১০ মিনিট দেরিতে টস

সকাল থেকেই সাউদাম্পটনের আকাশ মেঘলা। দুপুরের দিকে হঠাৎ শুরু হয় ঝিরঝির বৃষ্টি। তাই নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি টস। ১০ মিনিট পর অনুষ্ঠিত হবে টস। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আকাশ মেঘলা থাকলেও দুপুরের পর তা কেটে যাবে। 

নতুন মাইলফলকের সামনে সাকিব

বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজারী ক্লাবে ঢুকতে আর মাত্র ৩৫ রান চাই সাকিব আল হাসানের। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ২টি উইকেট নিতে পারলে বিশ্বকাপের একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে ১০০০ রান ও ৩০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। গত ম্যাচের আগের শেষ পাঁচ ওয়ানডেতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন সাকিব। গত ম্যাচেও ফিফটি প্রায় পেয়েগিয়েছিলেন। ৪১ রান করেছিলেন। অল্পের জন্য বাংলাদেশের হয়ে টানা ছয়টি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি গড়তে পারেননি।

আফগানদের হারিয়ে সেমির স্বপ্ন উজ্জ্বল করতে চায় টাইগাররা

হাতে রয়েছে তিনটি ম্যাচ। জিততে হবে তিনটিতেই। অন্যথায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে বাধা আফগানিস্তান। ওই দুই দলের বিপক্ষে খেলার আগে আফগানদের হারাতে পারলে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে গিয়ে সেমির স্বপ্ন যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি ক্রিকেটারদের মেজাজ-মর্জি হবে ফুরফুরে, বাড়বে আত্মবিশ্বাস।

আফগানদের বিপক্ষে কিছুটা মানসিক চাপে থাকে বাংলাদেশ। কেননা, অস্ট্রেলিয়া-ভারতের মতো বড় বড় দলের কাছে হারলে যতটা না সমালোচনা হয়ে থাকে, তার চেয়ে বহুগুণে হয়ে থাকে আফগানিস্তানের কাছে হারলে। তাছাড়া নিজেদের সবশেষ ম্যাচে প্রাণপণ লড়াই করে ভারতকেই ভড়কে দিয়েছিলেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিরা।

বাস্তবতা হলো, খেলার মাঠে এসব চাপ থাকেই। এই চাপকে টেক্কা দিয়েই শেষ হাসি হাসতে হয়। আর লক্ষ্যটা যেহেতু সেমিফাইনাল, তাই এসব চাপের কাছে মাথা নত না করে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এরই মধ্যে সে প্রমাণ রেখেছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা।

তাই ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আফগানদের হারিয়ে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসটা নিতে চান কোচ স্টিভ রোডস, 'প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আফগানিস্তানকে হারানো। তারা শক্ত প্রতিপক্ষ। দারুণ সব ক্রিকেটার আছে তাদের। ভারতের সঙ্গে তারা খুব ভালো খেলেছে। আমরা তাদের সমীহও করি। এশিয়া কাপেও আমাদেরকে সহজে জিততে দেয়নি। আমরা জানি কাল (সোমবার) একটা কঠিন ম্যাচ হবে। কিন্তু আমরা ভীত নই, আত্মবিশ্বাসী। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women defend SAFF title with 2-1 win against Nepal

Bangladesh retained the title of SAFF Women's Championship with a 2-1 win against Nepal in an entertaining final at the Dasharath Stadium in Kathmandu today. 

10m ago