ইংল্যান্ডকে দেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিখতে বলছেন ক্যালিস
পাকিস্তানের কাছে হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। দলটিতে প্রতিভাবান এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের কমতি না থাকলেও পারফরম্যান্সে তার ছাপ পড়েনি। আগের আসরে একইরকম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়ে না থেকে গেল চার বছরে নিজেদের তো বটেই, গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার দর্শনটাই পাল্টে দেওয়ার জোগাড় করেছে ইংলিশরা। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও এখন তাদের দখলে। তাই ইংল্যান্ডকে দেখে দক্ষিণ আফ্রিকানদের ঘুরে দাঁড়ানোর শিক্ষা নিতে বলেছেন দেশটির কিংবদন্তি সাবেক তারকা জ্যাক ক্যালিস।
গ্রুপ পর্ব থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা আগেও বাদ পড়েছে, ২০০৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে। কিন্তু সেবার এমন অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি তারা। ভাগ্য সহায় ছিল না বলেই কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়েছিল তাদের। এবার অবশ্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসরে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছেন ফ্যাফ দু প্লেসিরা। একটি পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। বাকি পাঁচটিতেই হেরেছে প্রোটিয়ারা! পয়েন্ট তালিকায় ছয় ম্যাচের সবকটিতে হারা আফগানিস্তানের উপরেই কেবল আছে দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই বেহাল দশা ব্যথিত করেছে ক্যালিসকে। উত্তরসূরিদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির ক্রিকেটে সুদিন ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
‘(২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে) ইংল্যান্ড এখন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে এবং তারা ভুল করতেও পিছপা হয় না। আমার মতে, এই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই রক্ষণাত্মক অ্যাপ্রোচ নিয়েছিল। তাদের উচিত ছিল প্রতিটি ম্যাচকে আরও ইতিবাচকভাবে নেওয়া।’
‘দলে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, বিষয়টা এমন নয়। ইংল্যান্ডকে এখনও ইয়ন মরগানই নেতৃত্ব দেয়, যেমনটা চার বছর আগেও সে দিত। কেউ কেউ হয়তো চাইবে, সবকিছুই পাল্টে ফেলা হোক। কিন্তু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটাই একমাত্র উপায় নয়। আমাদের আরও বেশি বিবেচনা করে দেখতে হবে এবং চিন্তাশীল হতে হবে।’
‘দক্ষিণ আফ্রিকা এখন যে ঘরানার ক্রিকেট খেলছে, প্রথমেই সে বিষয়টার ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আর এই আলোচনায় সব খেলোয়াড়ের উপস্থিত থাকা দরকার। আমার ক্যারিয়ারে আমিও ধাক্কা খাওয়ার পর সবসময়ই উন্নতি করেছি। এটাই খেলা। এটাই মানুষের স্বভাব। যখন কোনোকিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না, তখনই সে শিখতে চায়।’
Comments