টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে অবাক হয়েছিল বাংলাদেশ
একই উইকেটে ভারতের ২২৪ রান তাড়া করে জিততে পারেনি আফগানিস্তান। ব্যবহৃত আর মন্থর উইকেটে আগে ব্যাটিং করে জুতসই পূঁজি পেলেই জেতার কাজটা হয় সহজ। বাংলাদেশের চিন্তা ছিল তেমনই। কিন্তু তার আগে টসটা তো জেতা চাই। গুরুত্বপূর্ণ টসটা হারলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু তাতেও কোন ক্ষতি হলো না। টস হেরে বাংলাদেশকেই ব্যাট করতে পাঠায় আফগানিস্তান। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান।
সাউদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের মাঠ আকারে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা সবচেয়ে বড় গ্রাউন্ড। উইকেট মন্থর, আছে টার্ন। এমন উইকেটে আগে ব্যাটিং নেওয়া তাই যেকোনো দলের প্রত্যাশা। টস হেরেও ব্যাটিং পেয়ে যাওয়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য শাপেবর। ২৬২ রান করে আফগানদের থামিয়ে রাখা গেছে ২০০ রানে।
ব্যাট হাতে ৫১ রান আর বোলিংয়ে ২৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা সাকিব আফগানদের এই সিদ্ধান্তে নিজেদের অবাক হওয়ার কথা জানালেন, ‘এটা বেশ অবাক করা ব্যাপার ছিল আমাদের কাছে। কারণ আমরা একটা ব্যবহৃত উইকেটে খেলছি। ব্যাট করে একটা রান ছুড়ে দেওয়াই আদর্শ ছিল। কিন্তু সেটা (আগে বল করা) তাদের পরিকল্পনা ছিল। মাঝে মাঝে কেউ রান তাড়া করতে পছন্দ করে, কেউ ডিফেন্ড করতে। ’
আগের দিন কোচ স্টিভ রোডস বলেছিলেন এই মাঠের উইকেট, আকার তাদের নিয়ে যাচ্ছে আশি-নব্বুইয়ের দশকে। যখন কিনা আড়াইশও রানও ছিল চ্যালেঞ্জিং। সাকিবও বললেন তারা ২৪০ রানের লক্ষ্যেই খেলেছিলেন, হাতে উইকেট থাকায় মিলেছে আরও কিছু বাড়তি রান, ‘সত্যি কথা বললে আমাদের মনে হয়েছিল যথেষ্ট রানই করেছি। এটা তিনশো বা সাড়ে তিনশোর উইকেট ছিল না। ওদের তিনজন কোয়ালিটি স্পিনারকে সামলানো সহজ ছিল না, সেটা আমরা করেছি। সেকারণে ২৬০ (২৬২) এর মতো করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত ২৪০ রান করা। আমার মনে হয় এটা খুব ভাল চিন্তা ছিল। যদি শেষ পর্যন্ত খেলি তাহলে বাড়তি আরও কিছু রান মিলত। সেটা হয়েছে।’
বোর্ডে যথেষ্ট রান হলেও বোলারদেরই করতে হতো মূল কাজ। সেটা ঠিকঠাক করতে পারাতে স্বস্তি সাকিবের কণ্ঠে, ‘আমরা জানতাম এটা সহজ ছিল না। ওদের ডট বলে আটকে রাখা দরকার ছিল, চাপ তৈরি করা দরকার ছিল। যেটা আমরা করতে পেরেছি। আমরা আফগানিস্তানকে হারাব এটা নিশ্চিত ছিলাম না। আমাদের নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে উদগ্রীব ছিলাম।’
Comments