বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড গড়লেন ওয়ার্নার-ফিঞ্চ

ছবি: রয়টার্স

কি দারুণ ছন্দেই না আছেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নিয়মিত অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিচ্ছেন উড়ন্ত সূচনা। ইংল্যান্ডের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও এদিন গড়েছেন শতরানের জুটি। তাতে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ডই গড়েছেন তারা। টানা পাঁচ ম্যাচে করলেন কমপক্ষে অর্ধশত রানের জুটি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম। এর মধ্যে আবার তিনটি ম্যাচে করেছেন শতরানের জুটি।

তবে এক দিক থেকে আফসোস করতে পারে তারা। অন্যথায় রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ হতো। উইন্ডিজের বিপক্ষে জুটিটা হয় মাত্র ১৫ রানের। শেল্ডন কটরেল ও ওশান থমাসের তোপে পরে সেদিন দুই ওপেনারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পারলে বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচেই টানা হাফ-সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি ধরা ছোঁয়ার অনেকটাই বাইরে নেওয়ার সুযোগ ছিল তাদের।

চলতি আসরে প্রথম ম্যাচে অসিরা মুখোমুখি হয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ৯৬ রানের জুটি। এরপর উইন্ডিজ ম্যাচে কিছু না করতে পারলেও পরের পাঁচ ম্যাচে আবার কমপক্ষে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তারা। ভারতের বিপক্ষে ৬১, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৬, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮০ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২১ রানের জুটি গড়ার পর এদিন গড়েন ১২৩ রানের জুটি।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। বরাবরের মতো এদিন দারুণ সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। গড়েন ১২৩ রানের জুটি। এদিনও নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফিঞ্চ। চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। টানা চতুর্থ ম্যাচে করলেন নুন্যতম হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মতো নিজের পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন তিনি। ওয়ার্নারও করেন আসরের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি।

এছাড়াও আসরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন ওয়ার্নার। খুব বেশি পিছিয়ে নেই ফিঞ্চও। তিনিও ছাড়িয়েছেন সাকিবকে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ৪৯৬ রান।

এছাড়াও এগিয়ে যাচ্ছেন আরও একটি রেকর্ড ভাঙতে। ২০১১ সালে তিলকারাত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গার জুটিতে এসেছিল সর্বোচ্চ ৮০০ রান। সে রেকর্ড ভাঙার পথে এ দুই অসি তারকা। এর মধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে ৬৪২ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago