ব্যাটিং উইকেট না পেলে কাজ করে না ইংল্যান্ডের ‘মন্ত্র’!
ইংল্যান্ড একটা ‘মন্ত্র’ অনুসরণ করে পাল্টে ফেলেছে নিজেদের। গেল দুই বছর ধরে তারা যে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়ে আসছে, তার পেছনে রহস্য এটাই। কিন্তু ব্যাটিং উপযোগী উইকেট না পেলে এই ‘মন্ত্র’টা অনেক সময়ই কাজে আসে না, এমন কঠিন সত্যই অকপটে স্বীকার করেছেন দলটির অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
টানা দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলটি বাদ পড়ে যেতে পারে গ্রুপ পর্ব থেকেই। মঙ্গলবার (২৫ জুন) লর্ডসে ২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে হেরেছে ইংলিশরা। তার আগে হেডিংলিতে শ্রীলঙ্কার করা ২৩২ রানের জবাবে তারা গুটিয়ে গিয়েছিল ২১২ রানেই।
দুটি ম্যাচের উইকেটই ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। পরীক্ষা দিয়েই জয় ছিনিয়ে আনতে হতো। তবে ইংল্যান্ডের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং লাইনআপ এমনভাবে ভেঙে পড়বে সেটা কে ভেবেছিল! ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সক্ষমতা নিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেছে। অথচ, বেয়ারস্টো-রুট-মরগান-বাটলারদের নিয়ে গড়া এই বিধ্বংসী লাইনআপই কদিন আগে টানা সাত ইনিংসে তিনশোর্ধ্ব রান তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ দলনেতা মরগান জানান, যে কৌশল অবলম্বন করে গেল কয়েক বছর ধরে রানের পাহাড় গড়ে প্রতিপক্ষদের ভড়কে দিয়েছেন তারা, সেটা ব্যাটিং উইকেট না পেলে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। কারণ, এমন উইকেটে খেললে বাউন্ডারি কম আসায় সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে সচল রাখতে হয় রানের চাকা। কিন্তু ইংলিশরা তো আগ্রাসী থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
‘আমি মনে করি, আমাদের যে “ব্যাটিং মন্ত্র” রয়েছে, তার মৌলিক বিষয়গুলোকে এই ম্যাচে এবং আগের ম্যাচটিতে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) বাস্তবায়ন করতে না পারায় মুশকিলে পড়তে হয়েছে আমাদের। আমরা আগ্রাসী থাকি, জুটি গড়ি আর নিজেদের মতো করে কাজটা শেষ করি। আমরা তা করতে পারিনি। ২৩০ কিংবা ২৮০, যে লক্ষ্যই তাড়া করতে যাই না কেন, আমরা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেগুলো করতে পারিনি। এটা হতাশাজনক।’
‘আমার মতে, ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক নয় এমন উইকেটে যখন আমরা খেলি, তখন আমাদের ব্যাটিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তখন আপনি বাউন্ডারি পান বা না পান, আপনাকে স্ট্রাইক রোটেট (সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে) করে খেলতে হয়।’
Comments