বাজে শুরুর পরও লড়াইয়ের পুঁজি নিউজিল্যান্ডের
৮৩ রানেই নেই ৫ উইকেট। দলীয় শতরান পূরণ করতেও খেলতে হয়েছেন ১৮৯ বল। কিন্তু এরপর জেমস নিশাম ও কলিন ডি গ্রান্ডহোমের দুর্দান্ত এক জুটি। তাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে চলতি বিশ্বকাপে দারুণ খেলতে থাকা নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে ২৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দলটি।
জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ডের সেমি-ফাইনাল। অন্যদিকে পাকিস্তান হারলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় এক প্রকার নিশ্চিতই। এমন ম্যাচের শুরুটাও দুর্দান্ত। ম্যাচের আগে তাদের বড় দুশ্চিন্তা ছিল ক্যাচিং নিয়ে। আসর জুড়ে একের পর এক ক্যাচ মিসে বেশ ভুগতে থাকা দলটির ফিল্ডিং নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিলেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সে দলটিই এদিন দারুণ ফিল্ডিং দিয়েছে। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছেন সরফরাজ নিজেই।
যদিও টসটা জিতেছিল নিউজিল্যান্ডই। তবে বেছে নেয় ব্যাটিং। আর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের তোপে পড়ে দলটি। নিজের প্রথম বলেই মার্টিন গাপটিলকে বোল্ড করে দেন তিনি। অবশ্য তার বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন এ কিউই ওপেনার।
তবে নিউজিল্যান্ড শিবিরে মূল তোপ দাগান ১৯ বছর বয়সী শাহিন শাহ আফ্রিদি। কলিন মুনরোকে হারিস সোহেলের ক্যাচে পরিণত করেন। এরপর রস টেইলর ও টম লাথামকে পরিণত করেন উইকেটরক্ষক সরফরাজের।
কিউই শিবিরে অবশ্য সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন লেগ স্পিনার সাদাব আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফেরান তিনি। চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চলেছেন কিউই অধিনায়ক। এদিনও ৬৯ বলে ৪১ রান করেছিলেন। দলের হাল ধরে ইনিংস মেরামতের পথে ছিলেন। অবশ্য উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সরফরাজও।
এরপরই নিশাম ও গ্রান্ডহোমের প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। জুটিটি হয়তো লম্বা হতো আরও। তবে রানআউটে কাটা পড়েন গ্রান্ডহোম। অবশ্য ততক্ষণে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তোলে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন নিশাম। ১১২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৭১ বলে ৬৪ রানের কার্যকরী ইনিংস আসে গ্রান্ডহোমের ব্যাট থেকে। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি।
Comments