‘আমি অস্ত্রের সামনে দাঁড়িয়েছি কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি’
“আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, অস্ত্রের সামনে দাঁড়িয়েছি-অস্ত্র ধরেছি, চিৎকার করেছি কিন্তু সাহায্যের জন্য একজনও এগিয়ে আসেনি।” রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজ এসব কথা বলেছেন নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। সকালে বরগুনা পুলিশ লাইনের কাছে বাবার বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কীভাবে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তারও বিবরণ দিয়েছেন আয়েশা। বলেন, “আমি ও আমার স্বামী কলেজ থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন কিছু ছেলে এসে তাকে মারতে শুরু করে। আমি তাদের থামানোর চেষ্টা করে পারিনি। পরে নয়ন, রিশান ফরাজী ও রিফাত ফরাজী এসে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, নয়ন বিভিন্ন সময় আমাকে বিরক্ত করত। রিকশায় থাকলে লাফিয়ে উঠত, কোথাও গেলে সেখানে গিয়ে ঝামেলা তৈরি করত। বিয়ের পরও নয়ন বিরক্ত করত। এই ব্যাপারটি আমার স্বামী জানতেন।
নয়ন তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল বলে জানান আয়েশা। বলেন, বিয়ে হওয়ার দুমাসের আগেও নয়ন আমাকে বিরক্ত করত। সম্পর্ক না করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এই ব্যাপারটি বাড়িতে না জানানোর জন্য চাপ দিয়ে বলত, এমনটা করলে তোমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
গতকাল বরগুনার কলেজ সড়কের ক্যালিক্স কিন্ডার গার্টেনের সামনে দিনদুপুরে স্ত্রীর আয়েশা সিদ্দিকার সামনে রিফাতকে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পর বিকেলে রিফাত মারা যান।
রাতে রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় আজ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির নাম চন্দন।
আরও পড়ুন: সরকারকে সীমান্তে ‘রেড এলার্ট’ দেওয়ার নির্দেশ
আরও পড়ুন: রিফাতের খুনীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
Comments