বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ: রিয়াজুল হক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, দেশে আইনের শাসন এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি, যার ফলে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
তিনি বলেন, “বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা আরেকটি বিষয়, যে কারণে অপরাধীরা কোনো না কোনোভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। এটি অপরাধীদের সাহস যোগাচ্ছে তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য।”
আজ (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
রিফাত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নয়নকে গ্রেপ্তারে বিলম্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, “তাকে (নয়ন) গ্রেপ্তার করা কঠিন কিছু না। এটি খুবই সহজ যেহেতু বরগুনা একটি ছোট শহর এবং তাকে সবাই মোটামুটি চেনে।”
“পুলিশ চাইলে পনেরো দিনের মধ্যে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারে... এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিতে পারে, যেহেতু সব আলামত সামনেই আছে। আশা করি তাই করবে,” যোগ করেন রিয়াজুল হক।
তিনি আরও বলেন, “এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে দেওয়া যায় এবং দুই-তিন মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা যায়। সেটি করতে পারলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে।”
রিফাত হত্যাকারীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “অপরাধী যে দলের, মতের বা যতোই বিত্তবান হোক না কেনো তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে।”
Comments