শ্বশুর বাড়িতে জামাতার রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী উধাও

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় চন্দ্রপ্রতাপ বাসাইল গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে জামাতা আব্দুল মালেকের (৪০) রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আব্দুল মালেক পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার খানপুর কাজীরহাট গ্রামের ওয়াহেদ আলীর পুত্র। এদিকে স্বামীর লাশ রেখে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পলাতক রয়েছেন।
Body Recovery logo
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় চন্দ্রপ্রতাপ বাসাইল গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে জামাতা আব্দুল মালেকের (৪০) রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আব্দুল মালেক পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার খানপুর কাজীরহাট গ্রামের ওয়াহেদ আলীর পুত্র। এদিকে স্বামীর লাশ রেখে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পলাতক রয়েছেন।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় মৃত আব্দুল মালেকের ভাই মো. দুলাল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশ্বাউল্লাহ জানান, আব্দুল মালেককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাছে দাবী করা হয়েছে হার্ট এটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের পারিবারিক ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার বাশাইল গ্রামের ঝনু শেখের কন্যা সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে ২০০৮ সালে আব্দুল মালেকের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১০ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

আব্দুল মালেকের সঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনের দাম্পত্য কলহ চলতো। এ কারণেই সাবিনা বেশ কিছু দিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

মালেক শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে শ্বশুরের প্রতিবেশী রুবেলের বাড়িতে স্ত্রীসহ রাত্রি যাপন করেন। শেষ রাতের দিকে মালেক বুকে ব্যথা অনুভব করলে ডাক্তার ডাকার কথা বলে সাবিনা লাপাত্তা হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মালেকের মৃত্যু হয়।

শনিবার পর্যন্ত সাবিনার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান জানান, আব্দুল মালেকের লাশ মর্গে আনা হয়েছে তবে এখনো ময়না তদন্ত শুরু করা হয়নি। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago