‘স্বার্থপরের মতো’ যা চাইছে বাংলাদেশ
ঠিক পরের ম্যাচেই যারা প্রতিপক্ষ। তাদেরই কিনা জয় কামনা করতে হচ্ছে! বাংলাদেশ দলের বাস্তবতা আসলে এমনই। বিশ্বকাপে এখনো শেষ চারে যাওয়ার আশা টিকে আছে। কিন্তু সেটা করতে হলে ‘যদি’, ‘কিন্তু’ ‘তবে’ ইত্যাদি সমীকরণ পেরুতে হবে। সেই ধাপে আপাতত বাংলাদেশের চাওয়া রোববার ভারতের কাছে হেরে যাক ইংল্যান্ড।
বার্মিংহামে হায়াত রিজেন্সি হোটেলের সামনে মোসাদ্দেক হোসেনকে জিজ্ঞাসা, ভারত না ইংল্যান্ড? কাদের সমর্থন করবেন? সাধারণত এই ধরণের প্রশ্ন এড়িয়ে গড়পড়তা জবাব দেন ক্রিকেটাররা। মোসাদ্দেক হাঁটলেন না সে পথে। বুঝিয়ে দিলেন সমর্থন আসলে কাদের দিকে, ‘ব্যাপারটা স্বার্থপরের মতো হয়ে যায়। যেটা আমাদের জন্য লাভবান হয় আমরা তাদেরকে সমর্থন করবো।’
বাংলাদেশের জন্য তো অবশ্যই লাভবান ভারতের জয়। বাকি দুই ম্যাচ যদি ইংল্যান্ড হেরে যায় তাহলে দুই ম্যাচের একটা জিতেও সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে মাশরাফি মর্তুজাদের। আর যদি ইংল্যান্ড এক ম্যাচ জিতে, আরেক ম্যাচ হারে। তাহলে সেমিতে যেতে হলে ভারত, পাকিস্তান দুদলকেই হারাতে হবে বাংলাদেশের।
কিন্তু ইংল্যান্ড দুই ম্যাচই জিতে গেলে নিজেদের কাজটা করেও সেমির স্বপ্ন পূরণ হবে না মাশরাফিদের। এই প্রথম নয়, টুর্নামেন্টে অনেকবারই এরকম অন্য দলের ক্ষতি কামনা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুরুতে পরিস্থিতি ছিল, নিউজিল্যান্ডের হারলেই ভাল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইংল্যান্ড হেরে নিজেদের পথ কঠিন করে ফেলায় এবার ইংল্যান্ডের হারই চাইছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে সেমির দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের হারও অবশ্যই বাংলাদেশের একান্ত কাম্য। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে জেতার পরিস্থিতি থেকেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হার, আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বৃষ্টিতে পয়েন্ট খোয়ানোর আফসোস ফের বড় হচ্ছে। নিজেদের নাগালের মধ্যে থাকা এই দুই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তুলতে না পারায় নিজেদের হাতে যে নিজেদের ভাগ্য আর থাকল না।
আফগানিস্তান ম্যাচের পর ক্রিকেটারদের টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষ। রোববার থেকেই অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশ। এই সময়ে টানা খেলার ধকল ঝেড়ে মানসিকভাবেও ফুরফুরে ক্রিকেটাররা। কিন্তু ব্যাটে-বলে নিজেদের প্রস্তুতির মধ্যেও তাদের চিন্তায় ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ। ইংল্যান্ড হেরে গেলে আরও দ্বিগুণ আশা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে নামতে পারবেন তারা।
Comments