নিজে বল করতে আসার ব্যাখ্যা দিলেন গুলবাদিন
শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য চাই ৪৬ রান। সে অবস্থায় ৪৬তম ওভারে বল করতে আসেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। সে ওভারে দিলেন ১৮ রান। তাতে ম্যাচ গেল ঘুরে। পরের ওভারে শাদাবকে রানআউট করে কিছুটা মোর ঘুরালেও আবার শেষ ওভারে বল হাতে নিয়েছেন। তাতে ক্ষিপ্ত ভক্ত-সমর্থকরা। আত্মপক্ষ সমর্থন করে গুলবাদিন বোলিং করতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
পাকিস্তানের ইনিংসে মাত্র ২ ওভার বল করেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন হামিদ হাসান। মূলত এ কারণেই তিনি বোলিংয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন গুলবাদিন, ‘হামিদ থাকলে আমি হয়তো তিন থেকে চার ওভারের বেশি করতাম না। সেই আমাদের মূল বোলার। কারণ এমন পরিস্থিতিত জন্য যে গতি দরকার আমার সে মাত্রায় গতি নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে ফিট ছিল না। আমার মনে হয় এটাই টার্নিং পয়েন্ট।’
সে সময়ে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের ওভার বাকী ছিল ৩টি। কিন্তু পার্টটাইম স্পিনার সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ওভার বাকী ছিল ২টি। যিনি এর আগের ৮ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৩২। তাকে দিয়ে ৪৬ ও ৪৮তম ওভার করাতে পারতেন গুলবাদিন। কিন্তু কি ভেবে নিজেই বোলিং করতে আসেন আফগান অধিনায়ক।
আর তার বোলিংয়ে আসায় সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই গুলবাদিনের বোলিংয়ে আসার পেছনে ম্যাচ পাতানোর গন্ধও পাচ্ছেন। কেউবা তাকে পাগল ও গর্দভও বলেছেন। সমালোচনা করতে ছাড়েননি সাবেক খেলোয়াড়রাও। গুলবাদিন বোলিংয়ে আসার পর মাইকেল ভন টুইট করে লিখেন, 'গুলবাদিন... এটা কী হচ্ছে...’
প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিয়ে গুলবাদিন আরও বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ওরা সব বোলারকে হয়তো লক্ষ্যবস্তু করছে না। প্রতিটি দলেরই আলাদা পরিকল্পনা থাকে। আমার মনে হয়েছে ৪৬তম ওভারটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে ওভারে আমি ১৮ রান দিয়েছি, সেটা মোটেও ভালো ছিল না। আসলে চাপটা ওদের ওপর ছিল। তারপরেও কৃতিত্বটা ওদের। ওরা যেভাবে খেলেছে আর যেভাবে শেষটা করেছে।’
Comments