ইমোশনাল না, এটাই বাস্তবতা: মাশরাফি

২০০৪ সাল। সেবার দেশের মাটিতে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভারতকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রতিবেশী শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। এরপর ২০০৭ বিশ্বকাপে আবার মাশরাফির পেসের ঝাঁকে কাবু হয় ভারত। শচিন টেন্ডুকার, বীরেন্দ্রর শেবাগ, সৌরভ গাঙুলীদের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ভারতকে বিদায় করে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ থেকে। সেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সম্ভবত শেষবার খেলতে নামবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অনুশীলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ছবি: বিসিবি

২০০৪ সাল। সেবার দেশের মাটিতে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভারতকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রতিবেশী শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। এরপর ২০০৭ বিশ্বকাপে আবার মাশরাফির পেসের ঝাঁকে কাবু হয় ভারত। শচিন টেন্ডুকার, বীরেন্দ্রর শেবাগ, সৌরভ গাঙুলীদের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ভারতকে বিদায় করে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ থেকে। সেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সম্ভবত শেষবার খেলতে নামবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে বিশ্বকাপে আর প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পাওয়া হবে না মাশরাফির। ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়কের ভারতের বিপক্ষে এটিই হতে পারে তাই শেষ ম্যাচ।

শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের বিখ্যাত দুই জয়ের নায়ক কি ভাবছেন? পুরনো ঝলমলে স্মৃতি মনে করে কি একটুও আবেগ স্পর্শ করছে না তাকে?

প্রশ্নের সময় চোখেমুখে স্মৃতিকাতরতার অভিব্যক্তি ধরা দিলেও এটাকে বাস্তবতার নিরিখেই দেখতে চান অধিনায়ক, ‘ইমোশনাল না, এটাই বাস্তবতা। অবশ্যই ভালো স্মৃতি আছে, এটাও সত্যি কথা। আমার চাওয়া যে সব ঠিকমতো যাবে। তবে আমার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দল ভালো করা। আমি না করি আরেকজনের ভালো করা। এটা আমার কাছে মূল গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’

সেই দুই ম্যাচে তিনিই জিতিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র সেই জয়ে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন মাশরাফি। ভারতকে ১৯১ রানে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমের তিন ফিফটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০০৪ সালে ব্যাট হাতে ৩১ রান আর বোলিংয়ে ৩৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে নায়ক বনেছিলেন তিনি।

এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক চান, তিনি না পারুন না পারুন। দলকে জেতাতে যে কেউ এমন কিছু করে মাতিয়ে দিক বিশ্বকাপ, ‘আপনি ২০০৭ আর ২০০৪ এর কথা বলছেন সম্ভবত। সেদিন সুমন (হাবিবুল বাশার) ভাই অধিনায়ক ছিল। উনি ত কেবল আমাকে পরিকল্পনা করে মাঠে নামেনি। পাঁচ ছয়জন যারা বোলার ছিল তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করে নেমেছে। আমি ভাগ্যবান যে আমি ক্লিক করেছিলাম। আমি এখন অধিনায়ক হিসেবে চাইব যেকেউ এমন পারফর্ম করুক। যেটা সাকিব করে এসেছে, এবারও সেই কেন নয়। কাজেই যে কারো জ্বলে উঠাটাই মুখ্য।’

Comments

The Daily Star  | English
Pro-Awami League journalist couple arrested

The indiscriminate arrests and murder charges

Reckless and unsubstantiated use of murder charges will only make a farce of the law, not bring justice to those who deserve it.

8h ago