নিউজিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড
ইংলিশরা যখন দুইশ রানের কোটা স্পর্শ করে তখন ওভার গিয়েছে ৩১টি। হাতে উইকেট ছিল ৮টি। তাতে মনে হচ্ছিল রানের পাহাড়ই গড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কিছুটা হলেও সাধ্যের মধ্যেই আটকে রেখেছে ইংলিশদের। কিন্তু তারপরও নিউজিল্যান্ডকে বেশ বড় লক্ষ্যই গড়েছে ইংল্যান্ড। জিততে হলে কিউইদের করতে হবে ৩০৬ রান।
দুই দলের জন্যই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইংলিশদের জন্য একটু বেশিই। কারণ হারলেও থাকছে ঘরের মাঠে দর্শক হয়ে থাকার আশঙ্কা। হারলে যে বাদই পড়ে যাবে এমনটা নয়। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ ও ভারতের দিকে। অন্যদিকে শঙ্কা রয়েছে কিউইদেরও। তার জন্য অসাধ্য সাধন করতে হবে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশকে হারাতে বিশাল ব্যবধানে।
এদিন টসটা জিতেছিল ইংল্যান্ডই। ব্যাটিং স্বর্গে আগে ব্যাট করতেই নামে তারা। শুরুটাও দুর্দান্ত। দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে চড়ে পায় উড়ন্ত সূচনা। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৩ রান। এরপর এ জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে বেয়ারস্টোর ৭১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। ৩০ ওভার শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে ফেলে দলটি। কিন্তু এরপরই হতাশার গল্প।
দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে শেষ ২০ ওভারে রান আসে মাত্র ১১১। মরগান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান।
দারুণ ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বেয়ারস্টো। ৯৯ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এ ওপেনার। আরেক ওপেনার জেসন রয়ের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। ৬১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন রয়। এছাড়া ৪২ রান করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট, হেনরি ও জেমস নিশাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৫/৮ (রয় ৬০, বেয়ারস্টো ১০৬, রুট ২৪, বাটলার ১১, মরগান ৪২, স্টোকস ১১, ওকস ৪, প্লাঙ্কেট ১৫*, রশিদ ১৬, আর্চার ১*; স্যান্টনার ১/৬৫, বোল্ট ২/৫৬, সাউদি ১/৭০, হেনরি ২/৫৪, গ্রান্ডহোম ০/১১, নিশাম ২/৪১)
Comments