মাশরাফির জন্য এটা আবেগঘন ব্যাপার: রোডস
সাধারণত ম্যাচ হারলে জবাব দিতে বরাবরই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পর আসেননি সেদিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগেও এলেন না তিনি। মাশরাফি গণমাধ্যম-বান্ধব বলেই টানা দুদিন, এমন আর কবে হয়েছে, মনে করা গেল না। অবসর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় কি তবে অধিনায়ক এড়িয়ে যাচ্ছেন গণমাধ্যম? তবে কোচ স্টিভ রোডসের অবশ্য এই নিয়ে আছে ভিন্নমত।
এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। দেশ থেকে আসার সময়েই তা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও ইতি হচ্ছে কি-না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাশরাফি জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরেই নিতে চান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর পরিস্থিতি আরেকটু বদলেছে। মাশরাফিও কি তার সিদ্ধান্ত বদলে এখানেই শেষ বলবেন? কোচ রোডসের আকুতি, যে সিদ্ধান্ত হোক না কেন, এটা যেন মাশরাফিকেই নেওয়ার সময় দেওয়া হয়, ‘মাশরাফি নিজেই বোর্ডকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমার মনে হয়, সবার উচিত তাদের উপর সিদ্ধান্তের ভার দেওয়া। আমার মনে হয়, গণমাধ্যমের অনেক বড় বড় খবর সত্ত্বেও তাকে যেন সম্মানটা দেওয়া হয়, সে কি করবে বা কি করবে না।’
কোচ জানালেন ক্যারিয়ারের অন্তিমে থাকা মাশরাফিকে নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যেও ছুঁয়ে যাচ্ছে আবেগ, ‘মাশরাফি এমন একজন, যাকে অবিশ্বাস্যভাবে শ্রদ্ধা করে ক্রিকেটাররা। আমি প্রায়ই লড়াকু শব্দটা ব্যবহার করি। কিন্তু সে দলের জন্য যুদ্ধ করে। মাশরাফিকে মানুষ শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে এই কারণেই। ড্রেসিং রুমে সবাই মাশরাফিকে ভালোবাসে। সে বলেছে, এটা তার শেষ বিশ্বকাপ, এটা তার জন্য আবেগঘন ব্যাপার।’
টুর্নামেন্ট থেকেই আগেই বিদায় নেওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটাতে মাশরাফির বিদায় প্রসঙ্গই জোরালো। কোচ চাইছেন, এই অবস্থা থেকেও দল যেন মন দিতে পারে খেলায়, ‘আমার কাজ হলো ম্যাশের অবস্থা বোঝা, শ্রদ্ধা জানাতে হবে যেহেতু এটা তার শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। আশা করছি সবাই তাকে শেষ ম্যাচে ওইভাবেই শ্রদ্ধা করবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এরপরও আমরা যেন খেলায় মন দিতে পারি।’
মাশরাফির অবসর নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এই গুঞ্জন দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন রোডস, ‘যদি জিজ্ঞেস করা হয় প্রভাব পড়বে কি-না, আমি বলব- না। দল এমনিতেই গণমাধ্যমের অনেক চাপ নেয়। মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক হাইপও আছে। তাদের হয়তো হেডলাইন দরকার আছে। এটা আসলে দলে প্রভাব ফেলবে না।’
Comments