মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেও বাদ পড়ায় পাকিস্তান কোচের আক্ষেপ
পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট সমান। জয়ের সংখ্যাও সমান। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল নেট রান রেট। যার মারপ্যাঁচে পড়ে সেমিফাইনালে খেলা হলো না পাকিস্তানের। অথচ মুখোমুখি লড়াইয়ে কিউইদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছিলেন সরফরাজ আহমেদরাই। এবারের বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াই বিবেচনায় না এনে রান রেটকে আইসিসি প্রাধান্য দেওয়ায় যারপরনাই হতাশ পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার।
বিশ্বকাপের পরের অংশে কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটাই না দেখাল পাকিস্তান। একটানা জিতল চারটি ম্যাচ। একে একে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে। তারপরও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো পাকিস্তানকে। ঝামেলাটা রান রেটের হিসাব-নিকাশে। নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েও যা মেলাতে পারেনি আর্থারের শিষ্যরা। সব ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের রান রেট ০.১৭৫, পাকিস্তানের -০.৪৩০।
গতকাল (৫ জুলাই) বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর্থার আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আইসিসি যদি হেড টু হেড লড়াইকে বিবেচনায় আগে রাখত, তবে আমরা সেমিফাইনালে থাকতাম।’
এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল পাকিস্তান। ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর ক্যারিবিয়ানরা ২১৮ বল হাতে রেখেই জিতে গিয়েছিল। ওই ম্যাচের ফলটা পোড়াচ্ছে আর্থারকে, ‘এটা হতাশাজনক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটার (বড় হারের) কারণেই এমন হয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য ভালো ভিত তৈরি করেও ৪১ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। সে প্রসঙ্গে দলটির কোচ বলেন, ‘আর আমাদের সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর। আমরা তা নিতে পারিনি। ওই দুটো ম্যাচ (উইন্ডিজসহ) আমাকে দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করবে।’
Comments