গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান

ছবি: এএফপি ও রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো আইসিসি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব। সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্ব শেষেই পাঁচ ব্যাটসম্যান করেছেন পাঁচশোর বেশি রান। তিন ব্যাটসম্যান করেছেন তো ছয়শোর বেশি। নকআউট পর্ব শেষে সংখ্যাটা বাড়তে পারে আরও। অথচ এর আগে বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুই জন ব্যাটসম্যান এক আসরে ছয়শোর বেশি রান করতে পেরেছিলেন।

দেখা নেওয়া যাক গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা ব্যাটসম্যানের তালিকায় রয়েছেন কারা... 

রোহিত শর্মা (ভারত)

একজন ব্যাটসম্যানকে জীবন দিলে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, তা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৮ ম্যাচ। তাতে জীবন পেয়েছেন মোট ৮ বার। তবে এসব ছাপিয়ে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করে যাচ্ছেন এ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যেই ৯২.৪২ গড়ে করেছেন ৬৪৭ রান। করেছেন ৫টি সেঞ্চুরি। যা এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১৫ সালে টানা চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। সব মিলিয়ে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ছয় সেঞ্চুরির রেকর্ডও ছুঁয়েছেন রোহিত। এছাড়া ২০০৩ বিশ্বকাপে করা শচীনের সর্বোচ্চ ৬৭৩ রানের রেকর্ডও রয়েছে শঙ্কায়।

ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ বিশ্বকাপ দিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার জন্য যে কতটা মূল্যবান এ খেলোয়াড় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুরু থেকেই দারুণ পারফর্ম করে ৬৩৮ রান তুলেছেন এ ওপেনার। ৭৯.৭৫ গড়ে সমান ৩টি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিও করেছেন। এখন পর্যন্ত এবারের আসরের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৬ রান করেছিলেন তিনি।

সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

অনেক বছর ধরেই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার তিনি। আর কেন তিনি সেরা তা বুঝিয়ে দিতে বিশ্বকাপকেই বেছে নিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় করেছেন ৬০৬ রান। গড় ৮৬.৫৭। গড়ে তার চেয়ে বেশি রান কেউ করলেও সেরা সাকিবই। সবচেয়ে কম রানের ইনিংসটাও ৪১ রানের। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক আসরে করা ৭টি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন। তবে কিছুটা দুর্ভাগা নিজেকে ভাবতেই পারেন সাকিব। কারণ এত দুর্দান্ত পারফর্ম করে দল ছিটকে পড়েছে সেরা চার থেকে। অন্যথায় নিজের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ থাকত।

অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া)

বল টেম্পারিং কাণ্ডে স্টিভ স্মিথ নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর হঠাৎ দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান ফিঞ্চ। নেতৃত্বই যেন বদলে দেয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও পরে দারুণ ছন্দে চলে আসেন তিনি। তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বিশ্বকাপেও। অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই উড়ন্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৬.৩৩ গড়ে করেছেন ৫০৭ রান। করেছেন ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফসেঞ্চুরি। সবচেয়ে বড় কথা বরাবরই হাত খুলে রানের গতি সচল রাখছেন তিনি। আসর জুড়ে তার স্ট্রাইক রেট ১০২.২১। আসরে সবচেয়ে বেশি ১৮টি ছক্কাও এসেছে তার ব্যাট থেকে।

জো রুট (ইংল্যান্ড)

চার ছক্কার ফুলঝুরি না ছুটিয়েও যে ধারাবাহিকভাবে বড় স্কোর করা যায় তা অনেক আগ থেকেই দেখিয়ে এসেছেন জো রুট। বিশ্বকাপেও আরও একবার নিজেকে চেনালেন। ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে নিয়মিত ভালো খেলে ৯ ইনিংসে করেছেন ৫০০ রান। গড় ৬২.৫০। স্ট্রাইক রেট ৯১.৭৪। তিনটি হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ২টি সেঞ্চুরিও।

Comments

The Daily Star  | English

3 killed in Iranian missile strike on southern Israel, says MDA

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

2d ago