ব্যর্থতার দায় নিজের ঘাড়ে নিলেন মাশরাফি
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য অনেক। শেষ চারে থাকার আশায় মাঠে নামা দলটি হয়েছে অষ্টম। ব্যর্থতার মাত্রাটা অনেকে তাই শতভাগই বলছেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ। আর এ হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দায়ও এড়িয়ে যাচ্ছেন না তিনি। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে টাইগারদের ইতিবাচক মানসিকতার প্রশংসাও করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এবারের বিশ্বকাপ দলটিকেই সেরা বলছেন অনেকে। কিন্তু এমন দল নিয়েও হতাশাই উপহার দিয়েছে টাইগাররা। সবমিলিয়ে তাদের সমালোচনায় মুখর অনেক ভক্ত-সমর্থক। আর এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছেন অধিনায়ক, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে দল যখন প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারবে, তখন সমালোচনা আমাকে নিতেই হবে এবং পুরো দলের দায়ভার নিতেই হবে। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তাকেও নিতে হতো এবং আমি সেটা নিচ্ছি।’
তবে পুরো আসরে ভাগ্য টাইগারদের সমর্থন করেনি। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে গেলে ফল অন্যরকম হতে পারত বলেই মনে করেন মাশরাফি, ‘সমালোচনা হচ্ছে বা হবে। সেটা সারা বিশ্বেই যে কোনো আসর শেষে হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটা বলব, কিছু জিনিস আমাদের পক্ষে গেলে আজকে আমাদের দল অন্যরকম জায়গায় থাকত।’
যদি-কিন্তুর ব্যাপারগুলো নিজেদের পক্ষে গেলে হয়তো ভালো কিছু হতে পারত। তবে সামগ্রিক দৃষ্টিতে বিশ্বকাপে যে তারা ব্যর্থ হয়েছেন তা অস্বীকার করেননি মাশরাফি। নিজেদের পারফরম্যান্স বিচার করতে গিয়ে বলেছেন, ‘হতাশাজনক। পুরো দল হতাশ। তবে যদি আপনি পুরো বিশ্বকাপ দেখেন আমরা যেভাবে খেলেছি... যদি কিছু বিষয় আমাদের পক্ষে যেত, হয়তো আমরা সেমি-ফাইনালে যেতে পারতাম। তবে খেলার ধরন যেটা ছিল, সেটা ইতিবাচক ছিল। তবে যেহেতু দলের প্রত্যাশা মেটানো যায়নি, তাই বলব অবশ্যই হতাশাজনক।’
দল ভালো না খেললেও দুর্দান্ত খেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন মাশরাফি, ‘সাকিব দুর্দান্ত খেলেছে। সঙ্গে মোস্তাফিজ, মুশফিক ও সাইফউদ্দিন- এরাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। আর বাকিদের পারফরম্যান্স আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল।’
Comments