পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের বিপক্ষে ‘জিতবে’ নিউজিল্যান্ড!
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ও ভারত যতগুলো ম্যাচ খেলেছে, সেগুলোর জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান বলছে, কেন উইলিয়ামসনরা কিছুটা এগিয়ে আছেন বিরাট কোহলিদের চেয়ে।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে দল দুটি একে অপরকে এখন পর্যন্ত আটবার মোকাবেলা করেছে। নিউজিল্যান্ড জিতেছে চারটিতে, ভারতের জয় তিনটিতে। বৃষ্টির বাগড়ায় পরিত্যক্ত হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের লিগ পর্বের ম্যাচটি।
ওয়ানডেতে দুদল মোট ১০৭টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে অবশ্য জয়ের পাল্লায় ভারী ভারতের দিকে। তারা জিতেছে ৫৫টি ম্যাচ। হেরেছে ৪৫টি। একটি টাই হয়েছে। বাকি ছয়টি ম্যাচ পণ্ড হয়েছে।
পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। চতুর্থ দল হিসেবে সেমির টিকিট পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আসরের প্রথম সেমিইনালে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলতে নামছে দল দুটি।
লিগ পর্বে ভারত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে। আর নিউজিল্যান্ড টানা হেরেছে নিজেদের শেষ তিনটি ম্যাচে। অর্থাৎ ফর্ম বিবেচনায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ‘ফেভারিট’ ভারত। তাছাড়া দলীয় শক্তির বিচারেও এগিয়ে কোহলিরা।
তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর চলছে বলেই কি-না ‘ফেভারিট’ তকমাটা জুড়ে যাচ্ছে কিউইদের গায়ে। পরিসংখ্যানও সায় দিচ্ছে, ভারতের বিপক্ষে ‘জিতবেন’ উইলিয়ামসনরাই!
পরিসংখ্যান যা বলছে:
১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৯৯- তিনটি আসরের আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড। আর সেই তিনবারই মুখোমুখি দেখায় ভারতকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডে বসেছিল। সেবার অবশ্য দেখা হয়নি তাদের।
এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দল দুটি। অর্থাৎ ইংলিশদের মাঠে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে খেলতে হলে জাসপ্রিত বুমরাহ-রোহিত শর্মাদের তাই গড়তে হবে ইতিহাস।
বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ১৯৭৫ সালে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে। ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক গ্লেন টার্নার খেলেছিলেন ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যানচেস্টারেই।
পরেরবার এশিয়ার দলটিকে মাত্র ১৮২ রানে বেঁধে ফেলার পর ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল দ্বীপদেশটি। লিডসের হেডিংলিতে কিউইদের চার পেসার মিলে তুলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেটের সবগুলো।
১৯৯৯ আসরে শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলি-মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনদের ভারতও পারেনি হারের বৃত্ত ভাঙতে। সেবারও আগে ব্যাট করেছিল তারা। তুলেছিল ৬ উইকেটে ২৫১ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারালেও পথ হারায়নি স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে ১০ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছিল তারা।
Comments