ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের একটি মাত্র জায়গা শূন্য রয়েছে। তা পূরণ হবে ইংল্যান্ড অথবা অস্ট্রেলিয়াকে দিয়ে। ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের দুই কুলীন দল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।
লিগ পর্বে স্বাগতিক ইংলিশদের হারিয়েছিল অসিরা। অ্যারন ফিঞ্চের দল ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিল ইয়ন মরগানদের বিপক্ষে। তবে এবারের ম্যাচটা যেহেতু ফাইনালে ওঠার লড়াই ও নক-আউট, তাই ম্যাচের আবেদন, উত্তেজনা ও গুরুত্ব একেবারে ভিন্ন।
চলুন পাঠক, দেখে নেওয়া যাক এমন চারটি বিষয়কে যেগুলো ব্যবধান গড়ে দিতে পারে দুই হেভিওয়েটের মধ্যকার সেমিফাইনালে।
ওপেনারদের দুর্দান্ত ফর্ম
এই একটা জায়গায় ভীষণ ভীষণ মিল দুদলের। সেমিতে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারদের দুর্দান্ত ফর্ম। একদিকে জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়, আরেকদিকে ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ।
চলমান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দুইয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার (৯ ম্যাচে ৬৩৮ রান)। চার নম্বরে অধিনায়ক ফিঞ্চ (৯ ম্যাচে ৫০৭ রান)। ইংল্যান্ডের বেয়ারস্টো আছেন আট নম্বরে (৯ ম্যাচে ৪৬২ রান)। চোটের কারণে তিনটি ম্যাচে খেলতে না পারা রয় আছেন ১৫ নম্বরে (৬ ম্যাচে ৩৪১ রান)।
দুদলের ব্যাটিং লাইনআপের পরের দিকের নামগুলোকেও হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। ইংল্যান্ড শিবিরে আছেন দলনেতা মরগান, জো রুট ও বেন স্টোকস। অসিদের তাঁবুতে রয়েছেন স্টিভেন স্মিথ, অ্যালেক্স ক্যারে ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এজবাস্টনের মাঠ
বার্মিংহামের এজবাস্টনে ইংলিশদের সাম্প্রতিক রেকর্ড ঈর্ষনীয়। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে এই মাঠে সবশেষ দশ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে তারা। লিগ পর্বে এজবাস্টনেই ভারতকে হারিয়ে সেমির দৌড়ে ফিরে এসেছিল দলটি।
একেবারে বিপরীত চিত্র অস্ট্রেলিয়ার। গেল ২৬ বছরে এই মাঠে কোনো ম্যাচ জেতেনি তারা। লিগ পর্বে এখানে কোনো ম্যাচও খেলেনি দলটি। অসিদের জন্য এ যেন বাড়তি পরীক্ষা।
বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
বিশ্বকাপে দুদল মুখোমুখি হয়েছে আটবার। এর ছয়টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, দুটিতে ইংল্যান্ড। ১৯৯২ সালের পর অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে অসিদের হারাতে পারেনি ইংলিশরা। হেরেছে টানা চার ম্যাচ (২০০৩, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৯ আসরে)।
তবে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচগুলোর অধিকাংশ জিতেছে ইংল্যান্ড। গেল বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তারা। এরপর একই বছরের জুনে নিজেদের মাঠে অসিদের ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ইংল্যান্ড।
পেসারদের দাপট (সীমিত সংখ্যায়)
বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছেন দুদলের পেসাররা। তবে সংখ্যার বিচারে তা সীমিত। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে স্বদেশী গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
তার পাশাপাশি প্যাট কামিন্স ৯ ম্যাচে পেয়েছেন ১৩ উইকেট। তবে দলের বাকিরা খুব বেশি কিছু করতে পারছেন না বল হাতে। ইংল্যান্ডের অবস্থাও প্রায় একই রকম।
গতি তারকা জোফরা আর্চারের ওপর খুব নির্ভরশীল ইংলিশরা। তিনি ৯ ম্যাচে পেয়েছেন ১৭ উইকেট। আরেকটি নির্ভরতার নাম মার্ক উড। ৮ ম্যাচে তার শিকার ১৬ উইকেট। কিন্তু বাকিরা ততটা সফল হননি। দলে মইন আলি, আদিল রশিদের মতো স্পিনার থাকলেও তাদের কাছ থেকে সেরাটা পায়নি ইংল্যান্ড।
Comments