অথচ ক্রিকেট ছেড়ে ফুটবলার হতে চেয়েছিলেন ওকস

ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে গোটা দেশে নায়ক বনে গেছেন পেসার ক্রিস ওকস। তাকে নিয়ে হুট করে বেড়েছে আগ্রহ। যা হয়, ওকসেরর ছোট থেকে বেড়ে ওঠার পথেও পড়ছে নজর। সে সূত্রেই জানা গেল, তিনি না-কি ক্রিকেটটা ছেড়ে দিয়ে হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার!
chris woakes

ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে গোটা দেশে নায়ক বনে গেছেন পেসার ক্রিস ওকস। তাকে নিয়ে হুট করে বেড়েছে আগ্রহ। যা হয়, ওকসেরর ছোট থেকে বেড়ে ওঠার পথেও পড়ছে নজর। সে সূত্রেই জানা গেল, তিনি না-কি ক্রিকেটটা ছেড়ে দিয়ে হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার!

গেল বৃহস্পতিবার বার্মিংহামে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই ধসিয়ে দেওয়ার নায়ক ওকস। ৮ ওভার বল করে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অসিদের বেঁধে রাখেন ২২৩ রানে। ব্যাটিং উইকেটে অমন বোলিং! দলের বিশাল জয়ে তাই সহজেই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

বার্মিংহামে যে মাঠে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছিলেন, তার খুব কাছেই ওকসের বাড়ি। বেড়ে ওঠার পুরোটা সময় কেটেছে ওই শহরেই। সেখানকার অ্যাস্টন ম্যানর ক্লাবে ক্রিকেট খেলতেন। সে সময় ফুটবলের পোকাও মাথায় ঢুকে গিয়েছিল তার। ফুটবলটাও খেলতেন ভালোই। স্বপ্ন ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল অ্যাস্টন ভিলায় খেলবেন।

অ্যাস্টন ম্যানরে ওকসের কোচ কেইথ ফোরম্যান জানালেন সে গল্প, ‘ছোট বেলায় ও দুরন্ত ফুটবলার ছিল। যখন ওর বয়স ১৪, তখন তাকে অপশন দেওয়া হলো- ক্রিকেট না ফুটবল। সে তখন বলেছিল যদি অ্যাস্টন ভিলায় সুযোগ পাই, তাহলে আমি ফুটবলই খেলতে চাই।’

৬৫ বছর বয়সী ফোরম্যান বলছিলেন, ‘ভাগ্যিস সে সুযোগ তার হয়নি। ওটাই তার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত (ক্রিকেটে থাকা) ছিল। কারণ এই খেলাতেই সে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার মতো।’

ওকসের শৈশবের কোচের ধারণা, ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হবেন ওকস। আর সেটা হলে সবচেয়ে গর্বিত হবেন ফোরম্যানই, ‘আমাদের ক্লাবের কেউ বিশ্বকাপ জিতলে, সেটা হবে ভীষণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’

ফোরম্যান জানালেন, সিমে বল ফেলার দক্ষতা একদম ছোটবেলা থেকেই আয়ত্তে আনেন ওকস, ‘আমি ওকে বল দিয়ে দেখিয়ে বলতাম সিমে মার, সে ওটাই করত। আবার বলতাম, আবারও করত। আসলে ওর প্রকৃতি-প্রদত্ত কিছু দক্ষতা ছিল।’

লাজুক, শান্ত কিন্তু বিশ্লেষণ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে শিষ্যকে উল্লেখ করে ফোরম্যান দিলেন ভবিষ্যদ্বাণী, ‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতবে, ওকস হবে আরও বড় হিরো।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago