মেসির চেয়েও রিলিজ ক্লজ বেশি গ্রিজম্যানের
নানা নাটকের পর বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফরাসি তারকা আতোঁয়া গ্রিজম্যান। তার রিলিজ ক্লজের পুরো ১২০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করেছে কাতালান ক্লাবটি। আর পাঁচ বছরের নতুন চুক্তিতে এ তারকার রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ইউরো। যা দলের সেরা তারকা পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী লিওনেল মেসির চেয়েও বেশি।
বার্সেলোনায় মেসির রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ গ্রিজম্যানকে কেনার চেয়ে মেসিকে কেনাটা সস্তা হবে আগ্রহী দলগুলোর জন্য। তবে গ্রিজম্যানের রিলিজ ক্লজই ফুটবল বিশ্বে সর্বোচ্চ নয়। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমার রিলিজ ক্লজ ১০০০ মিলিয়ন বা ১ বিলিয়ন ইউরো। এমনকি তরুণ ব্রাহিম দিয়াজকে কিনতেও খরচ করতে হবে মেসির চেয়ে বেশি। তার রিলিজ ক্লজ ৭৫০ মিলিয়ন ইউরো।
গ্রিজম্যানকে দলে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। ২০১৭ সালে নেইমার দল ছাড়ার পর থেকেই তাকে পেতে চেয়েছিল দলটি। গত মৌসুমে তো চুক্তি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাতলেতিকোতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গ্রিজম্যান। সে সময় তার বেতন-ভাতা বেশ বাড়িয়ে দেয় অ্যাতলেতিকো। কিন্তু চলতি মৌসুমে সে বেতনের চেয়ে ঢের কমে বার্সেলোনাতে যোগ দিলেন এ ফরাসি। আর তাকে পেয়ে বেশ বড়সড় রিলিজ ক্লজ বসিয়ে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
মূলত নেইমারের দল ছাড়ার পর থেকেই সতর্ক বার্সেলোনা। কারণ নেইমারের রাখা রিলিজ ক্লজ ২২২ মিলিয়ন ইউরো শোধ করেই তাকে দলে টেনে নেয় প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু এ ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ছাড়তে রাজি ছিল না বার্সেলোনা। রিলিজ ক্লজটা আরও বেশি থাকলে হয়তো নেইমারকে ধরে রাখতে পারত তারা।
শুধু বার্সেলোনাই নয়, তাতে শিক্ষা নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। তাই নতুন চুক্তিতে বেনজেমা ও দিয়াজের পাশাপাশি দলের সকল খেলোয়াড়ের রিলিজ ক্লজ রাখছে তারা আকাশছোঁয়া। লুকা মদ্রিচের ৭৫০ মিলিয়ন ইউরো, ইস্কোর ৭০০ মিলিয়ন ইউরো, মার্কো আসেনসিওর ৭০০ মিলিয়ন ইউরো ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ ধার্য করেছে দলটি। বার্সেলোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ রিলিজ ক্লজ জেরার্দ পিকের। তাকে কিনতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
Comments