ডুবেছে চট্টগ্রাম শহর

বন্দরনগরীর বাকালিয়া এলাকার কে বি আমান আলী সড়কে হাটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন লোকজন। ছবিটি আজ শনিবার দুপুরে তোলা হয়েছে। ছবি: স্টার

অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। নগরীর নিচু এলাকাগুলোর মধ্যে চকবাজার, বাকালিয়া, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, প্রবর্তক মোড়,  কে বি আমান আলী রোড, ডিসি রোড, চাঁদ্গা, শোলশহর ২ নম্বর গেট, নাসিরাবাদ ও দেওয়ানবাজার গতকাল থেকে হাঁটু পানির নিচে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। সেখানকার পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পথের ধারের ড্রেনের পানি আর বৃষ্টির পানি সব একাকার হয়ে রাস্তার ওপরে উঠে এসেছে। এই নোংরা পানিতেই হাঁটু ডুবিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। পথ চলতি অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, শহরের রাস্তায় খুব অল্প যানবাহন চলাচল করছে। সুযোব বুঝে তিন চাকার পদ চালিত ও ইঞ্জিনচালিত সব যানবাহনের চালকরা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া দাবি করছেন। ভারি বৃষ্টিতে প্রায় প্রতি বছরের এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখান কয়েকজন।

পশ্চিম বাকালিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হান্নান বলেন, প্রতি বছর একই সমস্যার মধ্যে পড়ছে এই শহরের বাসিন্দারা। বসার ভেতরে পানি ঢুকে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে আমার। কর্তৃপক্ষ কেন প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু করছে না তা আমরা বুঝতে পারছি না।

তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকের ভাষ্য, তাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ড্রেন পরিষ্কার রাখতে, যেও পানি দ্রুত নেমে যায়।

তার দাবি, জোয়ারের সময় ভারি বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলোয় পানি জমছে এবছর। তবে পানি দ্রুত নেমেও যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

UN requested logistical support, not 'corridor' for aid to Rakhine

NSA Khalil clarifies Bangladesh has not and will not discuss any corridor to Rakhine

10m ago