রিফাত হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নির সাক্ষ্য গ্রহণ

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
Borguna Rifat murder
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের একটি দল আজ (১৬ জুলাই) সকালে মিন্নির বাড়ি গিয়ে তাকে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

পুলিশ সুপার মারুফ হাসান জানান, হত্যা মামলাটির অন্যতম সাক্ষী হিসেবে মিন্নিকে ডেকে নিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সদর থানার ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির ও এসপি মারুফ হাসানসহ মামলার তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় সাক্ষী হিসেবে মিন্নির বক্তব্য নেন। পুলিশ সেসময় সন্দেহজনক আসামিদের শনাক্ত করতে মিন্নির সহায়তা নেন।

এদিকে রিফাত হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত দাবি করে গত ১৪ জুলাই বরগুনায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে।

মানববন্ধনের পরপরই বাবার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি দাবি করেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসময় তিনি অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago