এমপির গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ আটক ১০

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সরকার দলীয় একজন সংসদ সদস্যের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
Narayanganj sadril
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সরকার দলীয় একজন সংসদ সদস্যের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল (১৭ জুলাই) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকার প্রবাসী কালু মিয়ার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।

এছাড়াও, একই ঘটনায় ঢাকা বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অডিটর হাফেজ আহমেদকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের (৩৪৯) এমপি সেলিনা ইসলামের আত্মীয় সালমা বেগম (২৫) ও তার স্বামী হাফেজ আহমেদ (৩২) কালু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পারিবারিকভাবে ২০১৮ সালের বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়া সমাধানের জন্য রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন এমপি সেলিনা ইসলাম। বিচার সালিশ শেষে উভয় পক্ষকে মিলে যাওয়ার কথা বলে ভবনের নিচতলায় চলে আসেন এমপি সেলিনা ইসলাম

তখন ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুরু করে হাফেজ আহমেদ। চিৎকার শুনে কাউন্সিলর সাদরিল ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। এমপি গাড়িতে না উঠে নিচতলার একটি রুমে আশ্রয় নেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে এমপির গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এমপি সেলিনা ইসলামকে উদ্ধার করে। পরে এমপির অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর সাদরিল, হাফেজ আহমেদসহ ১০জনকে আটক করা হয়। সেসময় সালমার বাবা আব্দুল হাই ও খালাতো ভাই সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জসিমউদ্দিন জানান, ভাংচুরের অভিযোগে সাদরিলকে আটক করা হয়েছে। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এমপির অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago