ওয়াসায় দুর্নীতির সম্ভাব্য ১১ উৎস চিহ্নিত করেছে দুদক

wasa
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতির সম্ভাব্য ১১ উৎস চিহ্নিত করেছে। সেই সাথে এসব নিরসনে দেওয়া হয়েছে ১২ সুপারিশ।

গতকাল (১৮ জুলাই) দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন।

সেসময় সাংবাদিকদের দুদক কমিশনার জানান, দুদক ২০১৭ সালে দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানের পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবসহ বিবিধ কারণে যেসব দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয় তার উৎস চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ বা প্রতিরোধে পৃথক ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে।

কমিশন ইতোমধ্যে ১৩টি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেছে। ওয়াসার প্রতিবেদনটি ১৪তম জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, এ প্রতিবেদনে দুর্নীতির ১১টি সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে তা নিরসনে ১২টি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের প্রতিবেদন এটি। টিম বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

“সরকারের প্রতিটি সংস্থাকেই সমন্বিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। এ জাতীয় প্রতিবেদন মূলত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও সংবেদনশীল করে তুলবে,” যোগ করেন মোজাম্মেল হক।

প্রতিবেদন গ্রহণকালে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম দুদকের এ জাতীয় কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিসহ সকল প্রকার অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধক। তাই মন্ত্রণালয়ের কোনো স্তরেই দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না।

“কমিশনের এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কর্মকর্তাদের কোনো প্রকার গাফিলতি কিংবা শৈথিল্য আছে কী না তা চিহ্নিত এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago