আইসিসি হল অব ফেমে শচীন-ডোনাল্ড-ফিটজপ্যাট্রিক
‘আইসিসি হল অব ফেম’। দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যারা খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছেন, সেসব সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে সম্মানিত করার জন্য হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে আইসিসি। মর্যাদাপূর্ণ এই স্বীকৃতি লাভ করেছেন ভারতের ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার, দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যালান ডোনাল্ড ও অস্ট্রেলিয়া নারী দলের পেসার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) লন্ডনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিন সাবেক ক্রিকেটারকে হল অব ফেমে অভিষিক্ত করে আইসিসি। নিয়ম অনুসারে, কোনো ক্রিকেটার নিজের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ন্যূনতম পাঁচ বছর পর হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হন।
২০১৩ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন শচীন। যোগ্যতা অর্জনের পরপরই তিনি জায়গা পেলেন হল অব ফেমে। ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত হলেন তিনি। তার পূর্বসূরিরা হলেন সুনিল গাভাস্কার, বিষাণ সিং বেদি, কপিল দেব, অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড়।
ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন শচীন। সাদা পোশাকে ১৫ হাজার ৯২১ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে তার রান সংখ্যা ১৮ হাজার ৪২৬। দুই সংস্করণের ক্রিকেটেই এটা রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা একমাত্র খেলোয়াড়ও তিনি (টেস্টে ৫১টি, ওয়ানডেতে ৪৯টি)। ক্যারিয়ারের শেষদিকে ২০১১ সালে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছেন তিনি।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শচীন জানান, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে যাওয়া আইসিসি হল অব ফেমে অভিষিক্ত হওয়াটা সম্মানের ব্যাপার।’
২০০৪ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার তিনি। দলটির প্রথম বোলার হিসেবে ৩০০ টেস্ট উইকেট ও ২০০ ওয়ানডে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবমিলিয়ে তিনি ৬০২টি উইকেট দখল করেছেন।
অষ্টম নারী ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফেমে অভিষিক্ত হয়েছেন ফিটজপ্যাট্রিক। ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিশ্বের দ্রুততম নারী পেসারের তকমা ছিল নামের সঙ্গে। ওয়ানডেতে ১৮০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড হিসেবে যা টিকেছিল ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি (১৯৯৭ ও ২০০৫ সালে)।
Comments