আটক ট্যাঙ্কার ছেড়ে দিতে ইরানের প্রতি ব্রিটেনের আহ্বান
ব্রিটেন তার পতাকাবাহী জাহাজ ছেড়ে দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল (২০ জুলাই) ব্রিটেন এ আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ওমানের জলসীমায় জাহাজটিকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে যা চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য।
ইরান জাহাজ ও ক্রুদের ছেড়ে দেওয়ার এ আহ্বান দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। উল্লেখ্য, জাহাজটির অধিকাংশ ক্রু ভারতীয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবে আবারো সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে ইরানের ইসলামিক রিভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নৌ আইন অমান্য করায় তারা হরমুজ প্রণালী থেকে স্টিনা ইমপারো নামের একটি জাহাজ আটক করেছে।
আটকের এ ঘটনার কয়েকঘণ্টা আগে জিব্রাল্টারে ব্রিটেনের বৈদেশিক অঞ্চলবিষয়ক আদালত বলেছে, তারা ইরানের তেল ট্যাঙ্কার ‘গ্রেস–১’ আটকের সময়সীমা ৩০ দিন বাড়াবে। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবরোধ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ব্রিটেন দুই সপ্তাহ আগে ইরানের এ ট্যাঙ্কার ভূমধ্যসাগর থেকে আটক করে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও ব্রিটেনের জরুরি প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, তারা এ পরিস্থিতিকে ইরানের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রেস-১’-কে আটক করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈধভাবে। আর স্টিনা ইম্পারোকে আটক করা হয়েছে ওমানের জলসীমা থেকে যা স্পষ্টত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আটকের পর জাহাজটিকে ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি পুরোপুরি ও একেবারে অগ্রহণযোগ্য।
জার্মানি এবং ফ্রান্স ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৯ জুলাইয়ের এ ঘটনার পর বলেছেন, “আমি যা বলেছি ইরান তাই করে দেখাচ্ছে, দেশটি কেবলি সমস্যা তৈরি করছে। আর কিছু নয়।”
এদিকে ইরান এসব আহ্বান উপেক্ষা করে যাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের এ পদক্ষেপের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক নৌ আইন সমুন্নত রাখা।
Comments