শফিউলের অভিজ্ঞতা ‘ডেথ বোলিং’য়ে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা সফরের বাংলাদেশ দল শফিউল ইসলামের অন্তর্ভুক্তিতে পরিণত হয়েছে ১৫ জনে। তার দলে ফেরাটা বেশ চমক হয়ে এসেছে। কারণ গেল প্রায় দুই বছর ধরে কোনো সংস্করণের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়নি এই পেসারের। শফিউলকে নেওয়ার ব্যাখ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন উল্লেখ করেছেন বেশ কয়েকটি কারণ। যার মধ্যে রয়েছে ডেথ বোলিং নিয়ে উদ্বেগ, শফিউলের অভিজ্ঞতা ও শ্রীলঙ্কার আবহাওয়ার মতো বিষয়গুলো।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে। তাছাড়া সেখানকার আবহাওয়া বেশ গরম। আর শুরুতে দলও গঠন করা হয়েছিল ১৪ জনের। ফলে বাড়তি একজন ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ তৈরিই ছিল। কন্ডিশন বিবেচনায় তাই কপাল খুলে গেছে শফিউলের। বুধবার (২৪ জুলাই) সাংবাদিকদের কাছে সুজন বলেছেন, ‘খুব গরম আর ম্যাচ যেহেতু কাছাকাছি, ২৬ ও ২৮ তারিখে, আমাদের একটা জায়গা খালি ছিল, ১৫ জন আমরা নিইনি তখনই, তাই আমার মনে হয়েছে, একজন ফাস্ট বোলার আসলে দরকার দলে। আর আমি অনুভব করছি, যে রকম উইকেট এবং সবকিছু মিলিয়ে শফিউল খুবই অভিজ্ঞ।’
এই সিরিজে নেই বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। নেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। তারা দুজনে চোট পাওয়ায় দলে ঢুকেছেন তাসকিন আহমেদ ও ফরহাদ রেজা। আগে থেকে আছেন রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। স্কোয়াডে এই চার পেসার থাকলেও ‘ডেথ বোলিং’ নিয়ে দুর্ভাবনা আছে সুজনের। তাই জাতীয় দলে আট বছরে ৫৬ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শফিউলকে দলে ফেরানো, ‘ডেথ বোলিং নিয়ে আমার একটা উদ্বেগ আছে। অনেক আগে থেকেই আছে। ডেথ বোলিংয়ে শফিউল বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) ভালো করেছে। যদি সে ফিট থাকে, তাহলে আমাদের একটা বিকল্প তৈরি থাকল।’
‘ফরহাদকে (রেজা) নিয়ে আমাদের মাত্র চারজন ফাস্ট বোলার। সৌম্য (সরকার) বোলিং করেছে গতকাল (প্রস্তুতি ম্যাচে)। তো যদি কোনো চোট বা গরমে ডিহাইড্রেশন (শরীরে পানিশূন্যতা) হয়, তাই ঢাকা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে উড়িয়ে না এনে আগে থেকেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়েই আসলে শফিউলকে চাওয়া। ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে আমাদের।’
বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে যতটা ভাবনা-চিন্তা খেলা করছে সুজনের মনে, ব্যাটিং নিয়ে ঠিক ততটাই নির্ভার তিনি, ‘ব্যাটিং নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। ওরা খুব দারুণ ব্যাটিং করছে। বিশ্বকাপ থেকেই ফর্মে আছে ছেলেরা। বোলিংটা নিয়েই চিন্তা। দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়- মাশরাফি ও সাকিব নেই। তবে বাকি যারা আছে, তাদের সবারই সামর্থ্য আছে। তারপরও একজন বাড়তি খেলোয়াড় বিশেষ করে একজন ফাস্ট বোলার নিয়ে রাখা ভালো।’
Comments