সক্ষমতায় ঘাটতির কারণে শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সক্ষমতায় ঘাটতি থাকার কারণে তাদের দায়ের করা মামলায় শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
acc head
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সক্ষমতায় ঘাটতি থাকার কারণে তাদের দায়ের করা মামলায় শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

গতকাল (২৫ জুলাই) তিনি বলেন, “কমিশনের সক্ষমতায় কিছুটা ঘাটতির কারণেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ থাকে তা হয়তো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্মোচিত করা যায় না। সে কারণেই হয়তো কমিশনের মামলায় শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তারপরও কমিশনের প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় সাজা হচ্ছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক পরিবর্তন।”

কমিশনের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বহু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এখনো প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে দুদকের নতুন করে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক শুধু টিআইবি নয়, সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চায়। দুর্নীতি প্রতিরোধে সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হলে উদ্ভাবনীমূলক ধারণার প্রয়োজন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা গেলে তা হবে দেশের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। তাদের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য যদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তাহলে দুদক এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তাই সমঝোতা স্মারকে সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনীমূলক কর্মসূচি রাখা সমীচীন হবে।”

“কমিশন তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৮ হাজার সততা সংঘ গঠন করেছে। সেগুলোর মাধ্যমে বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। টিআইবি এসব কার্যক্রমের ওপর গবেষণা করে এর প্রভাব মূল্যায়ন করতে পারে। যাতে আমরা বুঝতে পারি আসলে কী ঘটছে। শিক্ষার্থীদের মনোজগতে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াসে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে কী না তা জানা দরকার। কারণ আমরা তাদের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করছি তা জনগণের অর্থ,” যোগ করেন তিনি।

মামলার জট নিয়ে তিনি বলেন, আইনি কারণেই কমিশনকে ছোট-বড় সব ধরনের মামলা করতে হয়। কারণ ক্ষুদ্র দুর্নীতির বিষয়ে যিনি অভিযোগ করেন তারও আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই বিদ্যমান আইনে ‘প্লি বার্গেনিং’ ব্যবস্থা সংযোজন করা গেলে চুনোপুঁটিদের মামলাগুলো হয়তো আইনি প্রক্রিয়ায় অন্যভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। এতে মামলা জট কমতে পারে।

এ সময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দুদকের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এ প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি থেকে তাদের পাশে রয়েছি। দুদককে আরও শক্তিশালী করতে এক সাথে কাজ করতে চাই।”

টিআইবি বর্তমান কমিশনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago