আইরিশদের ৩৮ রানে গুঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে জেতালেন ওকস-ব্রড
মাত্র ১৮২ রানের লক্ষ্য। তাতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের অভিষেক জয়ের স্বপ্নই দেখছিল এই সংস্করণের নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ড। কিন্তু জয় তো দূরে থাক, কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি দলটি। বরং পড়তে হয়েছে লজ্জায়! দুই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের তোপে মাত্র ৩৮ রানের গুটিয়ে হেরে গেছে আইরিশরা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) লর্ডসে সিরিজের একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সফরকারীরা হাতেগোনা রানে অলআউট হওয়ায় পেসবান্ধব উইকেটে অনুষ্ঠিত হওয়া চার দিনের ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে তৃতীয় দিনেই।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি সপ্তম সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। আর গেল ৭৩ বছরের মধ্যে এটাই কোনো দলের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার নজির। ক্রিকেটের সাদা পোশাকের সংস্করণে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা এখনও নিউজিল্যান্ডের দখলে। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই কিউইরা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ২৬ রানে।
আগের দিনের ৯ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। দিনের প্রথম বলেই স্টুয়ার্ট থম্পসন ফেরান অলি স্টোনকে। ফলে ওই রানেই থামে দলটির দ্বিতীয় ইনিংস। জো রুটরা পান ১৮১ রানের লিড।
লক্ষ্য তাড়ায় আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংস টিকেছে মাত্র ১৫.৪ ওভার। তাদের পক্ষে কেবল ওপেনার জেমস ম্যাককলাম দুই অঙ্কের দেখা পান। তিনি করেন সর্বোচ্চ ১১ রান। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে ওকস আর ব্রড মিলিয়ে নেন প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৭ রানে ৬ উইকেট পান ওকস। ৪ উইকেট দখল করতে ব্রডের খরচা ১৯ রান।
এর আগে আইরিশ পেসারদের দাপটে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছিল মাত্র ৮৫ রান। ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান তুলেছিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডরা। ফলে অবিস্মরণীয় এক জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাদের। সেই আশার পালে হওয়া লাগে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশো পেরিয়েই অলআউট হলে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টেস্টে প্রথম জয় পাওয়ার অপেক্ষা আরও বাড়ল আয়ারল্যান্ডের।
এখন পর্যন্ত মোট তিনটি টেস্ট খেলেছে আইরিশরা। ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে হেরেছিল তারা। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ফল। এবারে ভাগ্য বদলানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারই মেনে নিতে হয়েছে তাদের।
Comments