রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নয়তো পৃথক রাষ্ট্র দেন, মিয়ানমারের প্রতি মাহাথির

মিয়ানমারের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হয় সে দেশের নাগরিকত্ব বা তাদের পৃথক রাষ্ট্র দেওয়ার দাবি তুলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
Mahathir Mohammad
মাহাথির মোহাম্মদ। রয়টার্স ফাইল ফটো

মিয়ানমারের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হয় সে দেশের নাগরিকত্ব বা তাদের পৃথক রাষ্ট্র দেওয়ার দাবি তুলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, যদিও মালয়েশিয়া অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে পছন্দ করে না, কিন্তু, মিয়ানমারে যে জাতিগতনিধন বা গণহত্যা চালানো হয়েছে সে বিষয়ে মালয়েশিয়া কথা বলতে বাধ্য হচ্ছে।

“একসময় মিয়ানমার ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ছিলো। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি মিয়ানমারকে একটি দেশ বানিয়ে তা শাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

“কিন্তু, এখন সেসব জাতিগোষ্ঠীকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে তা না হলে তাদেরকে তাদের ভূমি দিতে হবে যেখানে তারা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে,” যোগ করেন এই প্রবীণ রাষ্ট্রনায়ক।

তুরস্কে চারদিনের সফরে এসে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

২০১৭ সালে নতুন করে অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সেসময় তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটিতে পরিচালিত রোহিঙ্গা নিধন অভিযানকে জাতিসংঘ ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

এছাড়াও, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর দেশটির সরকারের নিধন অভিযান সম্পর্কে মাহাথিরকে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সবসময়ই আলোচনা, সমঝোতা ও আইনের মাধ্যমে সব সংঘাতের সমাধান চায়।

তার মতে, “সেই জনগোষ্ঠীকে (উইঘুর) তাদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্যে আমাদের উচিত চীনকে বলা।… আপনি যখন সংঘাতের পথ বেছে নিবেন তখন এর সমাধান পাওয়া খুবই জটিল হয়ে পড়বে। কেননা, সংঘাতের মাধ্যমে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago