বিব্রতকর রেকর্ড তামিমের
বোলারের নাম কখনো ইশুরু উদানা, কখনো লাসিথ মালিঙ্গা কিংবা শাহিন শাহ আফ্রিদি। তামিম ইকবালের নিয়তি যেন একই। গত ছয় ওয়ানডেতে টানা বোল্ড আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরমধ্যে মালিঙ্গার দারুণ ইয়র্কারে ভূপাতিত হয়ে স্টাম্প খুইয়েছিলেন, অন্য প্রায় সববারই দায় তার। স্টাম্পে অনেকে দৃষ্টিকটু ভাবে আউট হয়েছেন একাধিকবার। এই ম্যাচে বোল্ড হয়ে তামিম গড়েছেন বিব্রতকর এক রেকর্ড। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বোল্ড আউট হওয়া ব্যাটসম্যান যে তিনিই, টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচেও বোল্ড হওয়ার রেকর্ড হলো তার।
রোববার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩১ বলে ১৯ রান করে উদানার বলে বোল্ড হন তামিম। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল টেনে নিয়ে আসেন তিনি। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে ৩১ বার বোল্ড হলেন তামিম। ছাড়িয়ে গেলেন দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসানকে। তারা দুজনেই ৩০ বার করে বোল্ড হয়েছিলেন।
বোল্ড হতেই পারেন। কিন্তু আরেকটি রেকর্ড যে আরও বিব্রতকর। এই নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হয়েও গড়েছেন রেকর্ড। বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান টানা এত ম্যাচে ফেরেননি বোল্ড হয়ে। তামিমের পর টানা বোল্ড হওয়ার দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেউ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নয়। বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক বোল্ড হয়েছিলেন টানা চার ম্যাচে। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও বোল্ড হন টানা চার ম্যাচে। টানা তিন ম্যাচে বোল্ড হওয়ার নজির আছে মাশরাফি, সাকিব, মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহর।
বোল্ড হওয়ার ধরণ বলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভুগছেন সব সংস্ক্ররণে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। চলতি বছরে যে তার সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না পরিসংখ্যান দেয় সেই সাক্ষ্য। ২০১৯ সালে ওয়ানডেতে ১৭ ম্যাচে তামিমের ব্যাটিং গড় ২৫.৮৮ এবং স্ট্রাইকরেট ৭২.৭২। কোনটাই দলের চাহিদা মেটানোর একদম ধারেকাছেও নয়।
Comments