রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ

চারটি প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে দুধ নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলায় রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন দুগ্ধ খামারিরা।

আমাদের পাবনা সংবাদদাতা জানান, আজ (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শত শত খামারি ভাঙ্গুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খামারিরা রাস্তায় দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানান।

গতকাল হাইকোর্ট মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ও সীসার উপস্থিতির প্রেক্ষিতে বিএসটিআই’র অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণনে পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়টিতে কোম্পানিগুলো দুধ কেনা-বেচা করতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।

বিএসটিআই অনুমোদিত এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা), ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোজেক্ট (আড়ং ডেইরি) এবং প্রাণ ডেইরি লিমিটেড (প্রাণ মিল্ক) ভাঙ্গুরার খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে থাকে।

উপজেলার শুধুমাত্র পাথরঘাটা গ্রামেই ১৪শ খামারি রয়েছেন বলে জানান সেই গ্রামের খামারিদের সংগঠনগুলোর সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন প্রায় চার হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করে থাকি। সেসব দুধ বিক্রি করি চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ দিয়েই আমাদের জীবন-জীবিকা চলে। এখন হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক চারটি প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে দুধ কেনা বন্ধ রেখেছে। এখন আমরা কীভাবে বাঁচবো?”

মিল্ক ভিটার ভাঙ্গুরা সংগ্রহ ইউনিটের ইনচার্জ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, “যেহেতু গতকাল হাইকোর্ট দুধ উৎপাদন ও কেনা-বেচায় পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সেহেতু আমরা সেই নির্ধারিত সময়ের জন্যে দুধ কেনা বন্ধ রেখেছি।”

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা সারাদেশে ১ লাখ খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র দেশের উত্তরাঞ্চলের ২ লাখ খামারিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৮ লিটার দুধ সংগ্রহ করে থাকে।

আরো পড়ুন:

১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ বিক্রিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

13h ago