ইনিংস কেন বড় হচ্ছে না, কারণ খুঁজছেন সৌম্য
দ্রুত একটা শুরু আনেন, কিন্তু সেই শুরুটা টেনে নিতে পারেন না। সৌম্য সরকারের বিরুদ্ধে এই বদনাম অনেক দিনের। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে পেয়েছিলেন বড় রান, খেলেছিলেন দারুণ কিছু ইনিংস। বিশ্বকাপে গিয়েও প্রথম ম্যাচে তুলেছিলেন তান্ডব। এরপর শুরু পেয়েছেন বটে, তবে খেই হারাতেও লাগেনি সময়। টানা ১০ ম্যাচে তাই তার ব্যাটে নেই বড় রান। অনুশীলনে বাড়তি শ্রম দিয়ে তাই কারণ খোঁজার চেষ্টায় তিনি।
বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২০.৭৫ গড়ে করেন ১৬৬ রান। স্ট্রাইকরেট একশোর উপরে থাকলেও বড় রান না পাওয়ায় উঠে প্রশ্ন। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও প্রথম দুই ম্যাচে একই দশা। এই দুই ম্যাচে করেন ১৫ আর ১১। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ৭৩, ৫৪ আর ৬৬ রান। এরমধ্যে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে দলকে জেতাতে রাখেন ভূমিকা।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০ বলে করেন ৪২ রান। কিন্তু এরপর যেতে পারেননি চল্লিশের ঘরে। নিজের দুর্দশা নিজে খুব ভালো করে অনুভব করছেন, উপায় খুঁজছেন এর থেকে বেরুনোর, ‘গত ১০ ম্যাচে আমি খুব বড় অবদান রাখতে পারিনি। এটা আমাকেও পীড়া দিচ্ছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, অতিরিক্ত অনুশীলন করছে, বোঝার চেষ্টা করছি কেন বড় রান আসছে না। এই দশ ম্যাচ আগের তিন ম্যাচে আমি ভালো খেলছিলাম। আমি এটা নিয়ে কাজ করছি। নিজের সমস্যা নিয়ে একান্তে ভাবছি যাতে শক্তভাবে ফিরে আসতে পারি।’
শ্রীলঙ্কায় গিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে লাসিথ মালিঙ্গার দারুণ ইয়র্কারে ফিরতে হয় তাকে। বিশ্বকাপেও এমন ভালো বলে আউট হওয়ার নজির আছে, আবার অনেকবারই উইকেট বিলিয়েও ফেরেন তিনি। সব মিলিয়ে ব্যর্থতার একটা চক্রে পড়ে গেছেন তিনি, দুই-তিন ম্যাচে রান পেয়ে এই চক্র ভেঙে ফিরতে চান এই ওপেনার, ‘অনেকবার হয়েছে আমি খুব ভালো বলে আউট হয়ে গিয়েছি। কখনো আবার ভুল করেছি। ভালো দিন আর খারাপ দিন আছে। যদি দুই-তিন ম্যাচে রান করতে পারি তাহলে আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব। যখন আমি আমার নিজের ক্রিকেটের কাছে থাকব আমার আত্মবিশ্বাসটাও থাকবে।’
সৌম্যদের খারাপ সময়ে শ্রীলঙ্কায় দলও আছে অস্বস্তিতে। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। বুধবার তামিম ইকবালের দলকে নামতে হবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে। এমন পরিস্থিতিতে কেবল মনের জোরই সম্বল সৌম্যদের, ‘এটা সত্য যে আমরা সিরিজ হেরেছি, কিন্তু অবশ্যই শেষ ম্যাচে শক্তভাবে ফিরে আসার আশা করি।’
Comments