সদরঘাটে অবৈধ খেয়াঘাট: ১০ মাসে লঞ্চের ধাক্কায় পানিতে পড়ে নিহত ২৩
রাজধানীর বুড়িগঙ্গায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ খেয়া নৌকা পারাপারে তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদ। গত ১০ মাসে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ যাত্রীর।
সদরঘাট থেকে প্রতিদিন ৪৫টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। আর এ টার্মিনাল এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ১৩টি অবৈধ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত ডিঙি নৌকা যাত্রী পরিবহন করে।
সদরঘাট টার্মিনাল নৌ থানা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় নৌকায় করে পাড় হতে গিয়ে লঞ্চের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গায় ডুবে ২৩ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
২১ জুন এমভি পূবালী-৫ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকার যাত্রী মাদরাসাছাত্র মিশকাত (১২) ও তার বোন নুসরাত (৭) ডুবে মারা যায়।
৬ মার্চ এমভি সুরভী-৭ এর ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে, ২৫ জানুয়ারি মা ও দুই মেয়ে এমভি পারাবাত লঞ্চের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গায় ডুবে যান।
এমন দুর্ঘটনা রোধে ১২ মার্চ নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিআইডব্লউটিএ চেয়ারম্যান কমোডোর এম মাহবুবুল উল ইসলামের অংশগ্রহণে মন্ত্রণালয় জরুরি বৈঠক করে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এপ্রিলের মধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল এলাকার অবৈধ খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে রাজধানীর ওয়াইজঘাট, শ্যামবাজার, নবাববাড়ি, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও বাদামতলী ঘাট এবং কেরানীগঞ্জের নাগরমহল, ইস্পাহানী, বাবুবাজার ব্রিজ ও পোস্তগোলা ব্রিজ ঘাটে পরিকল্পিতভাবে পল্টুন বসিয়ে বিআইডব্লউটিএ’র মাধ্যমে ওয়াটার বাসে করে যাত্রী পারাপার করা হবে। সেই সঙ্গে এসব ঘাটে খেয়া নৌকাগুলোও যাত্রী বহন করতে পারবে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০টি ছোট পল্টুন বানিয়ে নবাববাড়ি ঘাটে রাখা হয়। কিন্তু পল্টুন তৈরি করেই ঝিমিয়ে পড়েছেন বিআইডব্লউটিএ’র কর্মকর্তারা।
অবৈধ খেয়াঘাটগুলো বন্ধ না হওয়ায় ঈদুল আজহার সময় অতিরিক্ত লঞ্চ চলাচলকালে বুড়িগঙ্গাতে আবারও প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।
Comments