ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ

Javad Zarif
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল (৩১ জুলাই) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

উপসাগরীয় দেশটির শীর্ষ এ কূটনীতিকের তৎপরতা চালানোর দরজা কার্যকরভাবে বন্ধ করতেই ওয়াশিংটন এমন পদক্ষেপ নিলো। খবর এএফপি’র।

এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে জারিফের যেকোনো ধরনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়ে সরকার বলেছে, তারা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সফরও সঙ্কুচিত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভান মুচিন এক বিবৃতিতে বলেন, “জারিফ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বেপরোয়া কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং তিনি বিশ্বব্যাপী তেহরান সরকারের প্রধান মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। এমন পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরান সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে তেহরানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।”

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ব্যাপারে প্রয়োগ করা একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় জারিফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে পারমাণবিক উত্তেজনা নিরসনে ওবামা প্রশাসনের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ বড় আঘাত।

ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্প বিষয়ে বিদেশের সাথে জটিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জারিফ। এ শিল্পের ব্যাপারে তেহরানের ভাষ্য হচ্ছে এটি একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। তবে ইসরাইলসহ ওয়াশিংটন ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলো জোর দিয়ে বলে আসছে যে ইরান তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, জারিফের কূটনৈতিক ভাবমূর্তি মিথ্যা।

জারিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নন, তিনি প্রপাগান্ডামন্ত্রী একথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছেন যথেষ্ট হয়েছে, আর না।”

জারিফ যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের দ্রুত জবাব দিয়ে টুইটার বার্তায় বলেন, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানকে নীরব রাখার চেষ্টা করছে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

3h ago