নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়লো অর্ধশতাধিক ঝুটের গুদাম
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক ঝুট কাপড়ের গুদাম পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ জায়গা খালি করতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আজ (২ আগস্ট) ভোরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে জেলা পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ দমকল বাহিনীর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ভোররাত সাড়ে ৩টায় আগুনের খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে এসে সাতটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখানে অর্ধশতাধিক ঝুটের গোডাউন হওয়ায় কেউ বসবাস করেন না। তাই কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগেও দুবার আগুন লেগেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, “এখানে বিদ্যুতের লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা তদন্ত করছি।”
ঝুটের গোডাউনের মালিক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, সরকারি জায়গার জলাধারের উপর ভাসমান অবস্থায় গড়ে উঠা বস্তিতে কেউ বসবাস করে না। বেশ কয়েকটি টং দোকানসহ অর্ধশতাধিক ঝুটের গুদাম রয়েছে এখানে। এখানে আগুন লাগার কোনো কারণ নেই। হয়তো কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন বলেন, বার বার এখানে কীভাবে আগুন লাগে। তাও আবার রাতের এ সময়টায় যখন কেউ জেগে থাকে না। প্রায় কয়েক মাস আগে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি এসে বলেছিলো জায়গা খালি করতে। কিন্তু, তখন আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে সেই ব্যক্তিই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, আমরা তাকে চিনি না। আমরা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিবো। আমরা সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে আগুন কেউ লাগিয়ে দিয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। যদি কেউ অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments