শৈলকুপায় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

Capture
৪ আগস্ট ২০১৯, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর আহাজারি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন নারীসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এসময় ৩০টি বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

আজ (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ছয় জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসরাইল ও প্রতিপক্ষের মাতব্বর মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে উভয় পক্ষ ঢাল-সরকিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ইদ্রিস, সুজন, আলাউদ্দিন, মারুফ, রিজিয়া, রাশিদা, তানিয়া, ফজলু, মিলন, তরিকুল ও সাইদুলসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাইকপাড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই গ্রামের আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অনেকে ভয়ে বাড়ি-ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, সামাজিক আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন ও দলটির সাধারণ সম্পাদক মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা জুড়ে প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষ চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

13h ago