সাইফউদ্দিনের সমস্যা জানতে বিদেশে পাঠাবে বিসিবি
অনূর্ধ্ব-১৫'এর হয়ে খেলার সময়ই পিঠে ব্যথা অনুভব করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে আজও সম্পূর্ণ মুক্তি মেলেনি তার। এর মূল কারণই হচ্ছে এ ব্যথার উৎসই খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। এবার পূর্ণ পরিত্রাণের লক্ষ্যে ব্যথার উৎস খুঁজতে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেখানেও ইনজুরি ভুগিয়েছে তাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারেননি। আর এ নিয়ে জল ঘোলাও কম হয়নি। ইচ্ছে করেই খেলেননি বলে দাবী করেছেন অনেকেই। তাই নতুন করে আর কোন বিতর্কে না জড়াতে পূর্ণ পরিত্রাণ চান সাইফউদ্দিনও। আর দলের এমন পারফর্মারের এ সমস্যা দেরিতে হলেও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী রোববার সাইফউদ্দিনের ইনজুরি প্রসঙ্গে বললেন, 'আমরা ওকে বায়োমেকানিক্যাল এসেসমেন্টের জন্য দেশের বাইরে পাঠাচ্ছি। আসলে একটি এক্সামিনেশন। আমরা জানতে চাইছি ওর সমস্যাটা কোথায়। যেমন একটি সমস্যা জানার জন্য আমরা এক্সরে করি, এমআরআই করি এটাও একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি আমাদের এখানে হয় না। পরীক্ষাটি বিশেষ কিছু জায়গায় হয় যেখানে আইসিসির কিছু নির্দিষ্ট জায়গা আছে যেমন অস্ট্রেলিয়ায় আছে, যুক্তরাজ্যে আছে, এমনকি ভারতেও আছে। আমরা এদের সবার সঙ্গে চেষ্টা করবো যোগাযোগ করার। যারা আমাদেরকে রেসপন্স করে ওদের সঙ্গে আমরা আগাবো।'
সম্ভাব্য সেরা জায়গায়তেই সাইফউদ্দিনকে পাঠান হবে বলে জানান বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। তবে এখনও এ নিয়ে কাজ শুরু করেননি তারা। রোববারই বিসিবি থেকে নির্দেশনা মিলেছে তাদের। সপ্তাহ-খানেকের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানান দেবাশীষ চৌধুরী, 'আমরা সবাইকেই চিঠি লিখবো। এখনও শুরু করিনি। (বিসিবি থেকে) আজকেই আমাদের জানানো হলো যে আমরা যেন এই ব্যাপারে আগাই। নিশ্চিত করতে গেলে আমার মনে হয় সাতদিন সময় লাগবে।'
তবে ধারণা করা হচ্ছে একটি ক্রোনিক লো ব্যাক পেইনে ভুগছেন সাইফউদ্দিন। প্রায় নয় বছর ধরে এই সমস্যা রয়েছে তার। সম্প্রতি তার ব্যথাটা বেড়ে যাওয়াতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিবি নিশ্চিত হয়েছে যে একধরনের ফ্যাসিট জয়েন্ট সমস্যায় ভুগছেন এ তরুণ। তার ফলশ্রুতিতে চিকিৎসার অংশ হিসেবে আমরা রিহ্যাবিটেশন কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করে তারা। এই চেষ্টায় পুরোপুরি সাফল্য না আসাতে দেওয়া হয় ইনজেকশন। এতে সাময়িকভাবে ব্যথা কিছুটা নিরসন হয় এবং খেলা চালিয়ে যেতে পারেন সাইফউদ্দিন।
কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বকাপের আগে যখন আয়ারল্যান্ড সফরে ব্যথাটা আবার বেড়ে যায় সাইফউদ্দিনের। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ইনজেকশন দেওয়া হয় ব্যথা নিরাময়ের জন্য। যা কিছুদিনের জন্য ব্যথা মুক্ত রাখতে সাহায্য করলেও কিছুদিন পর আবার ব্যথা ফিরে আসে। দেশে ফিরে আসারও রিভিউ করে বিসিবি চিকিৎসকরা। অবশেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় দেশের বাইরে কোথাও পাঠিয়ে বায়োমেকানিক্যাল এসেসমেন্ট করতে নিশ্চিত হতে হবে কোথায় সাইফউদ্দিনের মূল সমস্যা।
Comments