জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা থাকলো না

রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Amit Shah
৫ আগস্ট ২০১৯, ভারতীয় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: এনডিটিভি থেকে নেওয়া

রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ (৫ আগস্ট) সকালে মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। এর পর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেন।

রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর আর রাজ্য নয়।”

অমিত শাহ আরও বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠিত হবে। রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে- একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ।”

এর মধ্যে জানা গেছে, কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে। কিন্তু লাদাখে আইনসভা থাকবে না।

উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারাটি জম্মু ও কাশ্মীরকে কেবল নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক বিষয় ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছিলো। এছাড়াও, এই ধারার ফলে এই রাজ্যে কোনো নীতি বা সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের আইনসভার অনুমতি নিতে হতো কেন্দ্রকে।

সংবিধানের এই ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ‘বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা’-এর পরিসমাপ্তি ঘটলো।

কাশ্মীর উপত্যকায় বিপুল পরিমাণে সামরিক বাহিনী মোতায়েন এবং রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে নজরবন্দি করে রাখার পরে এমন উদ্যোগ নিলো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, অমরনাথ যাত্রায় সব পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওইসময় রাজ্যের কোনো কোনো অঞ্চলে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাও বন্ধ রাখা হয়।

এর পর থেকে, জম্মু ও কাশ্মীরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কোনোরকম জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago