মোদির পাশে কেজরিওয়াল!
ভারতে বিজেপি-বিরোধী বড় মুখগুলোর একটি হলো আম আদমি পার্টির প্রধাননেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সাধারণত মোদির সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বেশ সরব থাকেন তিনি। কিন্তু, কাশ্মীর প্রশ্নে সেই কেজরিওয়ালকে দেখা গেলো মোদির পাশে দাঁড়াতে। We support the govt on its decisions on J & K. We hope this will bring peace and development in the state. — Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) August 5, 2019 আরো পড়ুন:
কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের। উভয় পক্ষের দাবি জম্মু ও কাশ্মীরের পুরো অংশের ওপর। এর পাশাপাশি কাশ্মীরের ভারতশাসিত অংশে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাব। সেই প্রভাবকে প্রশমিত করা জন্যে ভারতের সংবিধানের রাখা হয়েছিলো একটি বিশেষ ব্যবস্থা। সেই বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া হয়েছিলো বিশেষ মর্যাদা।
এই বিশেষ ব্যবস্থার কারণে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে একটু বেশি প্রশাসনিক ও অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকতো বিরোধপূর্ণ জম্মু-কাশ্মীর। আজ (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে ভারতের সংবিধান থেকে সেই বিশেষ ৩৭০ ধারাটি বাতিল করার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশটির মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে মোদির বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। অমিত শাহ বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর আর রাজ্য নয়।” সেসময় তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠিত করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হবে- একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ।
মোদি সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে প্রায় সব বিরোধীদল। এমন পরিস্থিতিতে সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে খ্যাতি পাওয়া কেজরিওয়াল সুর মেলালেন মোদি-অমিতদের সুরে। এক টুইটার বার্তায় তিনি বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান।
বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, “আমরা জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাই। আমরা আশা করি এর মাধ্যমে রাজ্যটিতে শান্তি ফিরে আসবে এবং সেখানে উন্নয়ন হবে।”
Comments