আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আমলার আকস্মিক অবসর

বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। তবে এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়েই ছিলেন তিনি। দিব্যি খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন আরও কিছুদিন। মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়ার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণ থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন হাশিম আমলা।
Hashim Amla
ছবি: এএফপি

বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। তবে এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়েই ছিলেন তিনি। দিব্যি খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন আরও কিছুদিন। মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়ারও সুযোগ ছিল তার। কিন্তু হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণ থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন হাশিম আমলা।

বৃহস্পতিবার এক আবেগঘন বার্তায় নিজের অবসর ঘোষণা দেন তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৮ হাজার ৬৭২ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও আরও কিছুদিন ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।

নান্দনিক ব্যাটিংয়ের জন্য দুনিয়াজুড়ে নাম কুড়ানো আমলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ১৫ বছরের পথচলা থামিয়েছেন কৃতজ্ঞচিত্তে,  ‘প্রথমত ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তাকে আমাকে প্রোটিয়াদের যাত্রায় অংশ নিতে দেওয়ার জন্য। এটা একটা অন্যরকম সম্মান। আমি অনেক কিছু শিখেছি এই যাত্রায়, অনেক বন্ধু পেয়েছি, আনন্দ আর ভালোবাসা ভাগাভাগি করেছি।’

‘আমি আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানাই, প্রার্থনা করি তাদের জন্য। প্রোটিয়াদের হয়ে খেলার জন্য তারা আমাকে যে ভালোবাসা আর সমর্থন করেছেন তা অতুলনীয়। আমি ধন্যবাদ দেই আমার পরিবারকে, বন্ধুদের, আমার এজেন্টকে। আমার সতীর্থদের। ধন্যবাদ জানাই সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের। সবাইকে আমার হৃদয় থেকে ধন্যবাদ।'

‘ভক্তদের বিশেষ ধন্যবাদ। যখন খারাপ সময় গিয়েছে তখন তারা সমর্থন দিয়েছে, আবার যখন সাফল্য এসেছে তখন উদযাপন করেছে। শিবঙ্গা (আমরা কৃতজ্ঞ) সাউথ আফ্রিকা!’

 ‘এবং অবশ্যই বড় ধন্যবাদ পাওনা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের। ভুলব না প্রধান নির্বাহী থাবাঙ্গ মোরে ও তার প্রশাসনিক দলকে। সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভালোবাসা ও শান্তি।’

২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয় আমলার। এই ফরম্যাটেই তিনি ছিলেন সবচেয়ে ঝলমলে। ১২৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৪৬.৬৪ গড়ে ৯২৮২ রান করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৮ সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ৪১টি ফিফটি।

ওয়ানডেতে ১৮১ ম্যাচ খেলে ৪৯.৪৬ গড় আর ৮৮.৩৯ স্ট্রাইকরেটে ৮১১৩ রান করে গেছেন আমলা। এই ফরম্যাটেও আছে তার ২৭ সেঞ্চুরি আর ৩৯ ফিফটি। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে টি-টোয়েন্টিতেও কম যাননি তিনি। ৪৪ ম্যাচ খেলে ৩৩.৬০ গড় আর ১৩২.০৫ স্ট্রাইকরেটে ১২৭৭ রান করেন আমলা।

এবার বিশ্বকাপটা অবশ্য মনোমতো যায়নি তার। মাত্র দুই ফিফটিতে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। দলও পায়নি সাফল্য। আমলা এমন সময়ে বিদায় নিলেন যখন দক্ষিণ আফ্রিকা আছে পালাবদলের মাঝে। কদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার ডেল স্টেইনও। 

Comments