শিমুলিয়ায় জটিলতা কম
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। আজ (৯ আগস্ট) ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে ঘরমুখো মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা মানুষের সংখ্যা কম।
ঘাটে এসে দেখা যায়, এবার লোকজন বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন এবং স্পিডবোট বা লঞ্চে নদী পার হয়ে ওপারে কাঁঠালবাড়ি থেকে আবার গাড়িতে চেপে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ৫০০ স্পিডবোট দিয়ে পার করা হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. নাসির উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়া এবং নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউ থাকায় ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হলেও আজ পরিস্থিতি ভালো।
এর আগে বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে ফেরিঘাটের পন্টুনের সংযোগ সড়ক বিনষ্ট হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, সেগুলো মেরামতের পর এবং নদীর অবস্থা কিছুটা শান্ত হওয়ার পর ৮ আগস্ট দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ১৬টি ফেরি চলাচল শুরু হয়। আজ সকাল থেকে ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘাটের নিরাপত্তার জন্যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরমুখী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পারাপার করতে পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। সেই সাথে কাজ করছে রোভার স্কাউট।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ডেইলি স্টারকে জানান, শিমুলিয়া ঘাটের সার্বিক নিরাপত্তায় দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবসময় ঘাটে অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন।
“কোনো অনিয়ম পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করবে” উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যেনো না করা হয় এবং তাড়াহুড়া করে পারাপার হতে গিয়ে নৌযানে যেনো অতিরিক্ত যাত্রী না উঠেন সে ব্যাপারেও ঘাটে মাইকিং চলছে।”
Comments